বই (Books) আমাদের সবচেয়ে কাছে বন্ধু, দিক প্রদর্শক এবং দার্শনিক। প্রতিবছর ২৩ এপ্রিল রাষ্ট্রপুঞ্জ (UNESCO) দ্বারা পালিত হয় বিশ্ব বই দিবস (World Book Day) ও গ্রন্থস্বত্ব সংরক্ষণ দিবস ( Copyright Day)। এদিনের মূল উদ্দেশ্য হল, বই পড়া, বই ছাপানো, বইয়ের গ্রন্থস্বত্ব সংরক্ষণ করা ইত্যাদি বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানো। এছাড়া বিশ্ব সাহিত্যে এটি একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ও প্রতীকী দিন কারণ ১৬১৬ সালের ২৩ এপ্রিল মিগেল দে থের্ভান্তেস (Miguel de Cervantes), শেক্সপিয়র (William Shakespeare) এবং ইনকা গার্সিলাসো ডে লা ভেগা (Inca Garcilaso de la Vega) সকলেরই মৃত্যু হয়েছিল। তাই মহান সাহিত্যিকদের শ্রদ্ধা জানাতে এই দিনটি বেছে নেওয়া হয়েছিল।
বিশ্ব বই দিবস এবং গ্রন্থস্বত্ব দিবসের প্রস্তুতির সময়ে, গতানুগতিক ধারা, ভাবনা চিন্তার বাইরে গিয়ে নতুন কিছু ভাবনার জন্য সকলকে চ্যালেঞ্জ জানায় রাষ্ট্রপুঞ্জ। আমাদের লক্ষ্য হল সকলকে বই পড়াতে উৎসাহ দেওয়া এবং বিষয়টাতে আনন্দ দেওয়া! এই বছরের বিশ্ব বই এবং গ্রন্থস্বত্ব দিবসে উদযাপন হিসাবে, রাষ্ট্রপুঞ্জ একটি 'বুকফেস' চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছে," বলা হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের ওয়েবসাইটে।
বিশ্ব বই দিবস ২০২১-র থিম
প্রতি বছর, রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি বই শিল্পের তিনটি প্রধান ইন্ডাস্ট্রিকে প্রতিনিধিত্ব করছে - প্রকাশক, বই বিক্রেতা এবং গ্রন্থাগার। 'গল্প শেয়ার করো' (Share A Story) এটি এই বছরের এই বিশেষ দিনের থিম। যার মূল লক্ষ্য, ভালবেসে বই পড়ার মাধ্যমে জীবন বদলানো এবং তা শেয়ার করা। রাষ্ট্রপুঞ্জের মতে, জর্জিয়ার তিবিলিসি শহরটি ২০২১ সালে বিশ্ব বইয়ের রাজধানী হিসাবে নির্বাচিত হয়েছে।
বিশ্ব বই দিবসের ইতিহাস
১৯৯৫ সালে,রাষ্ট্রপুঞ্জ ২৩ এপ্রিলকে বিশ্ব বই দিবস বা বিশ্ব বই এবং কপিরাইট দিবস হিসাবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং তারপর থেকেই এই তারিখটি সাহিত্যের ইতিহাসে বিশিষ্টতা অর্জন করেছে।
বিশ্ব বই দিবস ২০২১-র উদযাপন
প্রতি বছর এই দিন অসংখ্য অনুষ্ঠান হয়। তবে এবছর কোভিড ১৯-র জেরে বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি ছাত্র ছাত্রী, শিক্ষক এবং কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য বন্ধ রয়েছে।
তাই বাড়িতে বসেই সময় কাটাতে পারেন বই পড়ে। আর নতুন বই পড়ার ইচ্ছে হলে, ইন্টারনেট মাধ্যমেই কোনও ভাল বই ডাউনলোড করে পড়ুন এবং জ্ঞান অর্জন করুন।