Advertisement

World Hypertension Day 2023: হাইপারটেনশন আপনাকে নিঃশব্দে 'খুন' করছে, ৫ খাবার বাঁচাতে পারে...

World Hypertension Day 2023: তবে হাইপারটেনশনের অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে দেখা গিয়েছে জীবনযাত্রার অনিয়ম, উল্টোপাল্টা খাওয়া-দাওয়া ও এমন জীবন ধারণ যেখানে শরীরচর্চা কোনওভাবেই যুক্ত নয়।

বিশ্ব হাইপারটেনশন ডে ২০২৩
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 17 May 2023,
  • अपडेटेड 1:40 PM IST
  • হাইপারটেনশন এখন ঘরে ঘরে। অথচ এই রোগের কারণে হার্টে কঠিন রোগ বাসা বাঁধতে পারে।
  • এটার অন্যতম প্রধান কারণ উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে।
  • তবে হাইপারটেনশনের অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে দেখা গিয়েছে জীবনযাত্রার অনিয়ম, উল্টোপাল্টা খাওয়া-দাওয়া ও এমন জীবন ধারণ যেখানে শরীরচর্চা কোনওভাবেই যুক্ত নয়।

হাইপারটেনশন এখন ঘরে ঘরে। অথচ এই রোগের কারণে হার্টে কঠিন রোগ বাসা বাঁধতে পারে। হাইপারটেনশন হল এমন একটি অবস্থান যখন আর্টারি বা ধমনীর দেওয়ালের বিরুদ্ধে রক্তের শক্তি যতটা হওয়া উচিত তার চেয়ে অনেক বেশি হয়। এটার অন্যতম প্রধান কারণ উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। তবে হাইপারটেনশনের অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে দেখা গিয়েছে জীবনযাত্রার অনিয়ম, উল্টোপাল্টা খাওয়া-দাওয়া ও এমন জীবন ধারণ যেখানে শরীরচর্চা কোনওভাবেই যুক্ত নয়। তবে হাইপারটেনশন যদি সঠিক সময়ে ধরা না যায় তাহলে এটা হৃদরোগের ঝুঁকি বা স্ট্রোক হওয়ার বিপদ দেখা দিতে পারে। তাই সচেতনতা বাড়াতে এবং এই হাইপারটেনশন কতটা মারাত্মক অবস্থা তা মানুষকে বোঝানোর জন্য প্রত্যেক বছরই বিশ্ব হাইপারটেনশন দিবস পালন করা হয়ে থাকে। প্রত্যেক বছর ১৭ মে এই দিনটি পালন করা হয়। যদিও হাইপারটেনশন নিয়ে মানুষের জ্ঞান ববড়ই কম আর যে কারণে সঠিক সময়ে রোগীরা এই বিষয়টি নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যেতে পারেন না। ওয়ার্ল্ড হাইপারটেনশন ডে বা বিশ্ব হাইপারটেনশন ডে-এর লক্ষ্য এটাই যে আরও বেশি করে বাড়ুক সচেনতনতা।   

কোন দিন পালন করা হয়
প্রত্যেক বছর ১৭ মে গোটা বিশ্বে ওয়ার্ল্ড হাইপারটেনশন ডে পালন করা হয়ে থাকে। এ বছরও ব্যতিক্রম নয়। 

ইতিহাস
দিনটির শুরু বিশ্ব হাইপারটেনশন লিগের হাত ধরে। ৮৫টি দেশ জুড়ে রয়েছে এই বিশেষ সংস্থা। হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপের বিপদ সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে ওয়াকিবহাল করাই এর মূল কাজ। তাদের উদ্যোগেও শুরু হয় এই দিন। ২০০৫ সালে বিশ্ব হাইপারটেনশন লিগ প্রথম এইদিনটির সঙ্গে পরিচয় করিয়েছিল ১৪ মে। তবে ২০০৬ সাল থেকে ১৭ মে এই দিনটি পালন করা হয়ে থাকে। সেই বছর থেকে এখনও পর্যন্ত প্রতি বছর ১৭ মে তারিখেই পালন করা হয় বিশ্ব হাইপারটেনশন দিবস।

Advertisement

 

আরও পড়ুন:  খারাপ কোলেস্টেরল সরিয়ে হার্টের ক্ষমতা বাড়ায় ৫ খাবার, ডায়েটে রাখেন?

তাৎপর্য
এই বছর বিশ্ব হাইপারটেনশন দিবসের থিম হল, রক্তচাপ আপনার সঠিকভাবে পরিমাপ করু, এটাকে নিয়ন্ত্রণ করুন এবং দীর্ঘদিন বাঁচুন। হাইপারটেনশন নিয়ে মানুষের মধ্যে কম সচেতনতা থাকার কারণে এটা আরও বেশি গুরুতর অবস্থায় পৌঁছে যায়। তবে হাইপারটেনশন যদি নিয়মিত মাপা যায় তবে এটা নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে। এর ফলে অন্যান্য গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকিও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়। উচ্চ রক্তচাপের উপসর্গগুলির মধ্যে অন্যতম হল মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব, বমি, শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সমস্যা। বিশ্ব হাইপারটেনশন জন সচেচনতা বাড়াতে সহায়তা করে এবং এর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য চিকিৎসাও খোঁজা হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন যদি গ্রহণ করা যায় তবে এই হাইপারটেনশন থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে এবং এই দিনটিও সেই বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করায় সহায়তা করবে।  

কী কী খাবেন
হাইপারটেনশনে যে যে খাবারগুলি ডায়েটে রাখবেন, যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক। তবে কোনও ধরনের প্যাকেটজাত খাবার বা প্রক্রিয়াজাত খাবার না খাওয়াই ভালো। কারণ এই খাবারগুলিতে উচ্চ পরিমাণে সোডিয়াম পাওয়া যায়। 

আরও পড়ুন: কোলেস্টেরলের রোগীদের জন্য সুখবর, এই ৪ ফলেই সুস্থ থাকবেন আপনি

 

ডাল জাতীয় খাবার
প্রোটিন ও ফাইবারের অন্যতম উৎস হল বিনস ও ডাল। এর মধ্যে অন্যান্য পুষ্টিগুণও রয়েছে। তাই বিশেষজ্ঞরা বলেন যে হাই বিপি আক্রান্ত মানুষ বিনস ও ডাল খেতেই পারেন। এক্ষেত্রে খুবই কম সময়ের মধ্যে কমে যায় প্রেশার। এগুলিতে হাই প্রোটিন, খনিজ, ফাইবার ও অন্যান্য উপাদান রয়েছে সেগুলি খেতে পারেন। এগুলি রক্তকোষগুলিকে সজাগ করে এবং প্রদাহ হ্রাস করে। 

টক জাতীয় খাবার
বিপি হাই থাকলে খেতে পারেন টক জাতীয় ফল। যে কোনও ধরনের লেবু, মোসুম্বি ইত্যাদি অনায়াসে খেতে পারেন। এই ফলগুলি প্রেশার কমাতে পারে। এই ফলগুলিতে ভিটামিন থাকে ভরপুর। এমনকী খনিজও রয়েছে। 

সবুজ শাকসবজি
বেশি করে শাক-সবজি খেলে প্রাকৃতিকভাবেই আপনার রক্তচাপ কমতে শুরু করবে। এতে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় পটাশিয়াম যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক। তাই ডায়েটে অবশ্যই রাখতে পারেন নানান ধরনের সবজি, টম্যাটো, আলুস বীটরুট, রাঙা আলু, মাশরুম, রসুন। ফলের মধ্যে মেলন, কলা, অ্যাভোকাডো, কিউই, বেরিস, কমলা লেবু ও অ্যাপ্রিকট। 

আরও পড়ুন: হাই ব্লাড প্রেশারের ফলে ঘনিয়ে আসছে মৃত্যু, কীভাবে বুঝবেন? জানুন

বাদাম
সব ধরনের বাদাম খেতে পারেন। পেস্তা, আখরোট ও আলমন্ডে রয়েছে পটশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফাইবারের উচ্চ পরিমাণ। যা রক্তচাপকে কমাতে সহায়তা করে। 

চিয়া ও তিসির বীজ
চিয়া ও তিসির বীজ খুবই ছোট হয়। তবে এই খাবারের পুষ্টিগুণ কিন্তু কম নয়। এরমধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফাইবার। এই সমস্ত বিষয়গুলি প্রেশার নিয়ন্ত্রণের জন্য দারুণ উপকারী। এছাড়া আপনি চাইলে বিভিন্ন সবুজ শাক খেতে পারেন। এমনকী করতে পারেন এক্সারসাইজ। তবেই সমস্যা কমবে।
 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement