২৯ মে বিশ্বের প্রথম এভােস্ট জয়ী তেনজিং নোরগের জন্মদিন। আবার কাকতালীয়ভাবে ২৯ মে দিনটিতেই তিনি এডমন্ড হিলারীকে সঙ্গী করে এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছান। এই দিনটিকে স্মরণ করে রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (GTA)।
এই দিন থেকে দার্জিলিংয়ে চালু করা হচ্ছে পর্যটক ফ্রেন্ডলি এক দিনের ট্রেকিং রুট। যাতে পর্যটকরা ট্রেকিংয়ের আনন্দ নিতে পারবেন।
কমবেশি ১০ কিমি দূরত্বের এই রুটে কোথাও পাকা রাস্তা, কোথাও চোরবাটো আবার কোথাও জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। এই রাস্তায় পূর্ণাঙ্গ ট্রেকিংয়ের মজা নিতে পারবেন।
ক্রমশ ঘিঞ্জি থেকে ঘিঞ্জিতর হচ্ছে শৈলশহর দার্জিলিং। ফলে অনেকেই দার্জিলিং এলেও আশপাশের অফবিটের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন। ফলে দার্জিলিংয়ে ভিড় থাকলেও অর্থনৈতিক ভরকেন্দ্র কিছুটা ছড়িয়ে গিয়েছে।
এবার সেই পর্যটকদের দার্জিলিংমুখী করতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)। অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমে উৎসাহী পর্যটকদের জন্যে শৈলশহরে একদিনের ট্রেকিং রুট চালু করা হচ্ছে।
১০ কিমি দীর্ঘ এই ট্রেকিং রুটে মিলবে বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক জায়গা ঘোরার সুযোগ। হেঁটে ট্রেকিং করে উঠলেও ফেরার পথে অবশ্য গাড়িতে ফিরিয়ে আনা হবে দার্জিলিং ম্যালে।
ম্যালের চৌরাস্তা থেকে শুরু হয়ে পাহাড় চড়ে শেষে ট্রেকিং শেষ হবে এশিয়ার প্রথম জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র সিদরাপংয়ে। সেখানে কিছুক্ষণ চা-জলখাবার খাইয়ে ফিরিয়ে আনা হবে বেসক্য়াম্পে।
আগামী ২৯ মে বিশ্বের প্রথম এভারেস্টজয়ী তেনজিং নোরগের জন্মদিনে এই রুট চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন জিটিএর অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম বিভাগের আহ্বায়ক দাওয়া শেরপা।
অনেকেই দার্জিলিংয়ে এসে ট্রেকিং করতে চান। কিন্তু সান্দাকফুর দুর্গম রুট ছাড়া তেমন পর্যটকদের জন্য ট্রেকিং রুট নেই। ফলে সবার পক্ষে কষ্টসাধ্য রুটে ট্রেকিং রুট নেই।
তাছাড়া সান্দাকফুতেও এখন রাস্তা তৈরি হয়ে গিয়েছে। ফলে সেই রুটের জনপ্রিয়তাও কমেছে। তাই বিকল্প রুটের প্রয়োজন ছিল পর্যটকদের কথা মাথায় রেখেই।
মাঝেমধ্যে সেনচল অভায়রণ্যে পর্যটকরা ট্রেকিংয়ে যান। কিন্তু সব ধরনের পর্যটকদের জন্য সেই রুট নয়। সবাই যাতে ট্রেকিংয়ের আনন্দ নিতে পারেন, সেই কথা মাথায় রেখেই জিটিএ’র এই উদ্যোগ। এবার একদিনের ট্রেকিং রুট চালু করছে।
এই ট্রেকিংয়ে অংশ নেওয়ার জন্য মাথাপিছু ২০০০ টাকা দিতে হবে। সর্বনিম্ন ৩ জন থেকে সর্বাধিক ১০ জনের গ্রুপ করে ট্রেকিং করা যাবে। বয়সের কোনও সীমাবদ্ধতা নেই।
প্রত্যেক ট্রেকারের সঙ্গেই অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম বিভাগের গাইড থাকবেন। সিদরাপংয়ে ট্রেকিং শেষ হওয়ার পরে সেখান থেকে পর্যটকদের হোটেলে ফেরানোর জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করা হবে। এর জন্য আলাদা কোনও খরচ দিতে হবে না।