Puja Special Dishes At Tourist Lodges: গত বছরেও চালু করা হয়েছিল, এবারও ফের দুর্গাপুজোর (Durga Puja) দিনগুলিতে ভ্রমণপিপাসু বাঙালিকে কবজি ডুবিয়ে খাওয়ার বন্দোবস্ত রাখতে চাইছে পর্যটন দফতর। যাতে বাড়ি ছেড়ে দূরে পুজোর ভুঁড়িভোজে কোনও রসভঙ্গ না হয়, সে বিষয়ে সচেষ্ট। শারদোৎসবকে কেন্দ্র করে বাহারি পদে থালা সাজাতে উত্তরবঙ্গের লজগুলিতে শুরু হয়েছে পরিকল্পনা।
ইলিশ, রেওয়াজি খাসি থেকে কাতল কালিয়া কিংবা উত্তরবঙ্গের বোরোলি। লুচি, বিরিয়ানি থেকে পোলাও কিংবা স্রেফ পাহাড়ি মোমো, থুকপা, সেলরুটি বিভিন্ন জায়গায় যেমন সুবিধা রয়েছে, তা তুলে দিতে কার্যত মরিয়া। পর্যটনকে সর্বোচ্চ বিনোদনে পরিণত করতে চান তাঁরা। তবে যদি পদ্মার ইলিশ না মেলে তবে ডায়মন্ডহারবারের ইলিশই পাতে তুলে দিতে চান তাঁরা।
গজলডোবার ভোরের আলো থেকে সামসিং, মংপু, সুনতালেখোলা থেকে গরুমারা, জলদাপাড়া সব জায়গাতেই মিলবে এই সুবিধা। পর্যটন দফতর সূত্রের খবর, এ বছরও রঙিন আলোয় সাজিয়ে তোলা হবে প্রতিটি লজ। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, পুজোর দিনগুলি সবদিক দিয়েই সকলের কাছে স্পেশাল। অনেকেই অন্য সময় ছুটি পায় না, তাই পুজোর দিনগুলিতে ঘুরতে যান, তাই তাঁদের খাওয়া-দাওয়াতে যেন পুজোর আমেজ থাকে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। তার জন্য নানা পদে চর্ব্য চোষ্য লেহ্যতে নজর দেওয়া হচ্ছে।
মর্গান কটেজে ‘চিকেন রোস্ট উইথ বয়েল ভেজ’ এবং ‘ক্যারামেল কাস্টার্ড’ খেতে অনেকে ভিড় জমান। সেটা মিলবে পুরোদমে। যেহেতু পদ দুটি এখানকার স্পেশাল, তাই পুজোর দিনগুলিতে দুটি পদকেই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পদে বিশেষ নজর রাখছে সমতলও। বেসরকারি লজ-রেস্তোরাঁর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পুজোর সময়ের জন্য বিশেষ মেনুতে জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের পর্যটন দফতর।
কিন্তু বিশেষ নজরে কী থাকছে? সপ্তমী থেকে দশমী, দিন অনুসারে পদ সাজানো হবে বলে পর্যটন দফতর সূত্রে খবর। যেমন অষ্টমীতে খিচুড়ি, লাবড়া, চাটনি, পায়েস থাকছে কোথাও। কোথাও আবার পায়েসের পরিবর্তে দই-মিষ্টি। নবমীতে প্রায় প্রতিটি জায়গাতেই খাসির মাংস।