২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রামমন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা। তার পর থেকে জনসাধারণের জন্য খুলে যাবে মন্দির। উত্তরপ্রদেশে বারাণসী, বৃন্দাবন ও মথুরা অনেকেরই ঘোরা। বলার অপেক্ষা রাখে না, ভ্রমণপিপাসু বাঙালির তালিকায় নতুন গন্তব্য হতে চলেছে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা। রামলালার দর্শন করতে বহু বাঙালিই উদগ্রীব। কিন্তু কীভাবে যাবেন, অনেকেই জানেন না। অযোধ্যা ঘুরে এসে যাত্রাপথ লিখলেন বাংলা ডট আজতক ডট ইন-এর প্রতিবেদক।
অযোধ্যা ধাম স্টেশন সেজে উঠেছে নব রূপে। দেখলে মনে হবে বিমানবন্দরে চলে এসেছেন। যাবতীয় সুযোগসুবিধা রয়েছে যাত্রীদের জন্য। এই রেলস্টেশনের আকার দেওয়া হয়েছে প্রভু রামের মুকুটের মতো। বিরাট রেলস্টেশনে একসঙ্গে কয়েক হাজার যাত্রীর ওঠানামার ব্যবস্থা রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে বিরাট ওয়েটিং রুম। ২০ জানুয়ারির পর থেকে নিয়মিত ট্রেন চলবে এই স্টেশন দিয়ে। বাংলার যাত্রীদের জন্য আপাতত রয়েছে দুটি ট্রেন। পরে বাড়বে ট্রেনের সংখ্যা। এখন হাওড়া স্টেশন থেকে দুন এক্সপ্রেস ও কলকাতা থেকে জাঠ এক্সপ্রেস ধরতে পারবেন। আসানসোল স্টেশনে স্টপ রয়েছে। এসি স্লিপারে আসা-যাওয়া ২৬০০ টাকায় হয়ে যাবে। এছাড়া স্লিপারে দু'হাজারের মধ্যেই হয়ে যাবে।
এছাড়া সুলতানপুর নেমে অযোধ্যায় যেতে পারেন। হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে একাধিক ট্রেন আছে। হাওড়া থেকে কুম্ভ এক্সপ্রেসে যেতে পারেন সুলতানপুরে। দুপুরে চাপলে ভোরে নামিয়ে দেবে। সেখান থেকে উত্তরপ্রদেশ পরিবহণ নিগমের বাস ধরুন। ঘণ্টা দুই সময় লাগে অযোধ্যা যেতে। নামিয়ে দেবে অযোধ্যার প্রধান প্রবেশদ্বারে। বাসভাড়া ১২৫ টাকা। সেখান থেকে ১০ টাকার টোটো ধরে রাম কি পৌরি পৌঁছে যান। অযোধ্যা স্টেশন থেকেও ১০ টাকার টোটো ভাড়া পড়ে। বহু হোটেল ও ধর্মশালা আছে রাম কি পৌরিতে। খুঁজলে ৪০০ টাকাতেও পেয়ে যাবেন দুজনের থাকার ঘর।
স্লিপারে গেলে ২ হাজার কমে ট্রেন খরচ। সরাসরি অযোধ্যা ধাম স্টেশনে নামলে বাস ভাড়ায় খরচ হবে না। ৪০০ টাকায় হোটেল নিয়ে নিন। খাওয়ার খরচ পড়বে ১০০ টাকা। দুজনের জন্য ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাডার টাকায় দিব্যি ২ দিন কাটিয়ে দিতে পারবেন।
অযোধ্যায় গেলে কী কী ঘুরবেন?
অযোধ্যায় গেলে রাম মন্দির দর্শন তো করবেনই। তবে রামমন্দির দর্শনের আগে যান হনুমানগড়ি। সেখানে ১২টা নাগাদ গেলে আরতি দেখতে পারবেন। সেটা দারুণ মুহূর্ত। হনুমানজি অযোধ্যার পূর্বপ্রান্তের দ্বাররক্ষী। তাঁর আশীর্বাদ নিয়ে যান রামমন্দিরে। এছাড়া রয়েছে কনক ভবন। হনুমানগড়ি থেকে হাঁটা পথে পৌঁছে যাবেন সেখানে। দেবী সীতাকে এই ভবন উপহার দিয়েছিলেন মাতা কৌশল্যা। বিরাট এই ভবন দর্শন দারুণ অভিজ্ঞতা। কনক ভবন থেকে যান রামমন্দিরে। রাম কি পৌরি ঘুরতে পারেন। এছাড়া সরযূ নদীতে নৌকোবিহারও করতে পারেন। সে-ও এক দারুণ অভিজ্ঞতা।