Best Momo In North Bengal: উত্তরবঙ্গে ঘুরতে যান, কিন্তু উত্তরবঙ্গের সেরা মোমো খেয়েছেন? কেউ বলেন, কার্শিয়ংয়ের মোমো সেরা, কেউ বলেন শিলিগুড়ি আবার কারও দাবি দার্জিলিংয়ের মোমোই সবচেয়ে ভাল। কিন্তু যত দিন গিয়েছে, বিতর্ক ছাড়াই সবাই মেনে নিয়েছেন, যে এখানকার মোমোই উত্তরবঙ্গের সেরা। চলুন দেখে নিই, কোথায় মেলে সেই মোমাে।
শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে। কার্শিয়াং থেকেও একই দূরত্ব প্রায়। শিলিগুড়ি থেকে হিলকার্ট রোড ধরে সুকনা পার করে মাত্র ৬ কিলোমিটার দূরে রংটং। বাইক, গাড়ি নিয়ে পৌঁছে যান রংটংয়ে। অনেকে আবার টয়ট্রেনের পাশে পাশে রওনা দেন। একই সঙ্গে ঝিকঝিক করে এগিয়ে পৌঁছে যান রংটং।
ব্যস, সেখানে এক চিলতে দোকান। এই দোকানের টানেই এই এলাকায় ভিড় জমান সাধারণ মানুষ ও পর্যটকরা। ধোঁয়া ওঠা গরম মোমো, সঙ্গে চা-কফি খেতেই অনেকে হাজির হন এখানে। এছাড়াও স্পেশাল রেসিপিতে তৈরি ওয়াইওয়াই, ম্যাগি, থুকপাও রয়েছে তালিকায়। আর এখান থেকেই গরমের ভাবটা কমতে থাকে। তাই সারা বছরই হালকা ঠান্ডা থাকে। শীতে শিরশিরে হাওয়ার গরম মোমোর ভাব তাড়িয়ে উপভোগ করেন মোমা লাভাররা।
এখানে আসলে মোমো খেতে খেতে শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই নয়, হঠাৎ করেই আপনার সামনে এসে দাঁড়িয়ে পড়বে, ঐতিহ্যবাহী টয় ট্রেন। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। রংটং-এর রাস্তা দিয়েই শিলিগুড়ির এনজেপি থেকে দার্জিলিং ছুটে চলে টয়ট্রেন। রংটংয়ে রয়েছে টয়ট্রেনের ছোট্ট স্টেশন। আর সেই স্টেশনের ধারেই গড়ে উঠেছে ছোট্ট ছোট্ট মোমোর দোকান।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, একদম স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের পাশে বসে মোমো খেতে খেতে প্রকৃতির মাঝে এই টয়ট্রেনের আনন্দ উপভোগ করতে প্রতিনিয়ত এখানে ছুটে আসে পর্যটকেরা। এখানে আসলে নিমেষেই আপনার মন ভাল হয়ে যাবে। তাই এত চাহিদা। আর মোমোর স্বাদ তো রয়েছেই।
আপনিও যদি মোমোপ্রেমী হয়ে থাকেন, তাহলে পাহাড়, মোমো এবং ঐতিহ্যবাহী টয় ট্রেন এই তিনটি জিনিসের কম্বো প্যাকেজ আপনি পেয়ে যাবেন এখানে। আর যদি মোমো প্রেমী নাও হন, তাহলেও কোনও অসুবিধা নেই। প্রকৃতি উপভোগে কোনও সমস্য়া হবে না।