Jaldapara Tourist Lodge: বাংলা জুড়ে এখন পিঠেপুলির মরশুম। পৌষ সংক্রান্তি পেরোলেও হুহু করে ঠান্ডার কাঁপুনি পিঠের মরশুমকে আরও মধুর করে তুলেছে। তবে অনেকেই এখন ছুটির মেজাজেও রয়েছেন। কাছাকাছি ছুটি বলতে উত্তরবঙ্গের পাহাড়-জঙ্গল। সব জায়গায় এখন থিকথিকে ভিড়। পশ্চিমবঙ্গের সরকারি স্কুলগুলিতে কেবলমাত্র স্কুলের ক্লাস শুরু হয়েছে। তাই চাপ তেমন নেই। তাই সকলেই এখন ভ্রমণমুখী। এবার এই সুযোগের ফায়দা তুলতে গিয়ে পিঠেপুলির সঙ্গে একটু সমঝোতা করতে হচ্ছে। কারণ ঘুরতে গিয়ে তো আর হেঁশেল সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া যায় না! পর্যটকদের বিশেষ করে বাঙালি পর্যটকদের এই মন খারাপ দূর করতে এগিয়ে এসেছে বন দফতর। ডুয়ার্সের জঙ্গলে ঘুরতে গিয়েও যাতে পছন্দের পিঠে-পুলি পড়ে, সে বিষয়ে তাঁরা বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। ফলে আর মন খারাপের জায়গা নেই, জঙ্গলে বসে পিঠের স্বাদ নিতে পারবেন ভ্রমণপিপাসুরা।
জলদাপাড়ার জঙ্গলে পিঠে-পুলি খাওয়া
জলদাপাড়ার জঙ্গলে বসেই কবজি ডুবিয়ে খেতে পারবেন পছন্দের পিঠে। পর্যটকদের জন্য পৌষ উৎসবের আয়োজন হয়েছে জলদাপাড়া ট্যুরিস্ট লজে। পিঠেপুলি,পায়েস তৈরি হচ্ছে টুরিস্ট লজে। আর তাতে সাড়াও পড়েছে দারুণ। পর্যটকও খুশ, আর জলদাপাড়া বন বিভাগের কর্তা-কর্মীরাও খুশ। পিঠেপুলির স্বাদ উপভোগ করতে দেখা যাচ্ছে ডুয়ার্সের জঙ্গলে বেড়াতে আসা পর্যটকদের।
রাজ্য পর্যটন দফতরের অধীনে আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাটের জলদাপাড়া টুরিস্ট লজে বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য এমন আয়োজন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে লজের কর্মীরা। সাতদিন ধরে চলবে এই উৎসব। সংক্রান্তি থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে পিঠে খাওয়া।
কী কী পিঠে?
সকালে পর্যটকদের জন্য থাকছে পাটিসাপটা,দুধপুলি ও ভাপা পিঠে। সঙ্গে থাকছে পায়েসও । এক প্লেটে থাকবে দুটো পাটিসাপটা, একটা দুধপুলি ও একটা ভাপা পিঠে। সঙ্গে সুস্বাদু পায়েসও। শীতের এই সময়ে প্রচুর বাঙালি অবাঙালি পর্যটক জঙ্গলে বেড়াতে আসে । বাইরে জঙ্গল ভ্রমনের সময় বিশেষ করে বাঙালি পর্যটকরা পিঠে খাওয়ার স্বাদ থেকে বঞ্চিত হন। সেই বঞ্চনা দূর করতে পর্যটন দফতরের জলদাপাড়া টুরিস্ট লজ পর্যটকদের জন্য হরেক রকমের পিঠের আয়োজন করেছে।
জলদাপাড়া টুরিস্ট লজের ম্যানেজার নিরঞ্জন সাহা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “পৌষ পার্বণে বহু পর্যটক জঙ্গলে ঘুরতে আসার কারণে বাড়িতে বসে পিঠে খাওয়ার সুযোগ পান না। বিশেষ করে বাঙালি পর্যটকরা। পৌষ পার্বণে জলদাপাড়ায় ঘুরতে আসা পর্যটকরা সেই আফশোসের কথা আমাদেরও জানান । সেই জন্যই সাতদিন প্রাতরাশে পর্যটকদের লজে আমরা হরেক পদের পিঠে খাওয়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি।”
এই মুহূর্তে পর্যটন দফতরের জলদাপাড়া টুরিস্ট লজে ৩৪টি রুমই বুকড। টানা এমন পরিস্থিতি। কোনও ঘর ফাঁকা নেই। হলং বন বাংলোতেও একই পরিস্থিতি। তবে শুধু বাঙালি নন, যে কোনও পর্যটকরাই এই সুবিধা পাবেন।