Mudung Khola Kalimpong: বর্ষার পাহাড় সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। বর্ষার পাহাড় সবচেয়ে সুন্দরী। এমন ভয়াল সুন্দর রূপ দেখতেই তো এই সময় পাহাড়ে যাওয়া। বর্ষার বিপদ কাটিয়ে যদি পাহাড়ে নির্বিঘ্নে পৌঁছে যেতে পারেন সাহস করে, তাহলে তা সারাজীবনের জন্য পাথেয় হয়ে থাকবে। এই সময় মেঘলা থাকার কারণে কাঞ্চনজঙ্ঘা হয়তো দেখতে পাবেন না, কিন্তু বাকি যা পাবেন তা পয়সা উশুল করে দেবে।
গরম থেকে বাঁচতে পাহাড়ে যাবেন, সেখানে যদি সুইমিং পুলের মজা মেলে তাহলে কেমন হয়? তাও যদি সেটা হয়, ন্যাচরাল সুইমিং পুল, তাহলে তো আর কথাই নেই। কিন্তু এমন জায়গা আছে নাকি? দেশে-বিদেশে তো কতই আছে! কিন্তু হাতের কাছে তো নেই, অনেক খরচ। না কোনওটাই ঠিক নয়। এমন জায়গা রয়েছে আমাদের রাজ্যেই। দার্জিলিং পাহাড়েই। কিন্তু না জানা থাকায় অনেকেরই যাওয়া হয়ে ওঠেনি। চলুন আজ সেই জায়গার খোঁজ দিই।
এমনই একটি জায়গা মুডুং খোলা। শিলিগুড়ি থেকে খুব কাছেই। খরচও বেশি নয়। যাঁরা পাহাড়ে একটু অ্যাডভেঞ্চার করতে ভালবাসেন তাঁদের পক্ষে আদর্শ জায়গা এটি। খানিকটা গাড়িতে গিয়ে তারপর আর মোটররোড নেই। ফলে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে যেতে হবে বেশ খানিকটা। যদিও খোলা মন আর প্রেমিক আবেগ থাকে, তাহলে এই হাঁটা পথ মনে হবে স্বর্গ। পুডুংখোলা একটি নদী। স্থানীয় ভাষায় নদীকে বলে খোলা। এই নদীর ধার ঘেঁষে এঁকেবেঁকে গিয়েছে রাস্তা। একদিকে নদী অন্যদিকে পাহাড়ি জঙ্গল আর মাঝে রাস্তা। দারুণ এক রোমাঞ্চ।
এখনও সেই অর্থে এক্সপ্লোরড না হওয়ায় এটি এখনও বেশ নির্জন। কেবল মাত্র একটি হোমস্টেই রয়েছে এখানে। একেবারে নদীর ধারে রয়েছে হোমস্টেটি। সামনেই বয়ে চলেছে নদী। আবার চাইলে টেন্টেও থাকতে পারবেন। তবে হেঁটে আসার পথে একটুও গরম লাগবে না। কনকনে ভাব থাকে সারা বছরই। হিমেল হাওয়ায় কাঁপুনি ধরিয়ে দেবে।
হোমস্টেতে ফ্রেশ হয়ে হাঁটুজল খোলা নদীতে গা ডুবিয়ে একেবারে সুইমিং পুলের মজা নিতে পারেন। প্রাইভেট না হলেও আর হোমস্টে, রিসর্ট কিছু না থাকায় এটা কার্যত প্রাইভেটই হয়ে গিয়েছে। এখানে অবশ্য খাওয়া দাওয়া নিয়ে কোনও সমস্যা নেই।
শিলিগুড়ি থেকে রিজার্ভ গাড়ি নিয়ে চলে যান। যেটুকু যাওয়ার সেখানে পৌঁছে যাবেন। তারপর হেঁটে হোমস্টেতে পৌঁছন। আতিথেয়তা নিয়ে সকলেই প্রশংসা করেন যাঁরা একবার গিয়েছেন। বিভিন্ন ট্রাভেল ওয়েবসাইট থেকে বুক করতে পারবেন হোমস্টে। নিজেরাও মুডুংখোলা হোমস্টের নিজস্ব সাইটেও বুক করতে পারবেন। খরচও সাধ্য়ের মধ্যেই।