Advertisement

Sikkim Disaster turned Tourism: বিধ্বস্ত সিকিম, ডুয়ার্স-দার্জিলিঙে বুকিং রাতারাতি বাড়ল, হোটেল, রিসর্টের হিমশিম অবস্থা

কিছুদিন পরেই পুজোর মরশুম শুরু হবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটক সিকিমে ঘুরতে যাওয়ার জন্য বুকিং করে রেখেছিলেন। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ পর্যটক ফোন করে পরিস্থিতি জানতে চেয়েছে। অনেকে আবার বলেও দিয়েছে বৃহস্পতিবার অবধি দেখে বুকিং নিয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবে। এদের বুকিং বাতিল রুখতেই বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজে বেড়াচ্ছেন ট্যুর অপারেটররা।

বিধ্বস্ত সিকিম, ডুয়ার্স-দার্জিলিঙে বুকিং রাতারাতি বাড়ল, হোটেল, রিসর্টের হিমশিম অবস্থা
সংগ্রাম সিংহরায়
  • শিলিগুড়ি,
  • 05 Oct 2023,
  • अपडेटेड 1:56 PM IST
  • বিধ্বস্ত সিকিম, ডুয়ার্স-দার্জিলিঙে
  • বুকিং রাতারাতি বাড়ল
  • হোটেল, রিসর্টের হিমশিম অবস্থা

Sikkim Disaster turned Tourism: আচমকা সিকিমে বিপর্যয় নেমে আসায় হঠাৎ করেই ডুয়ার্স তরাইয়া বুকিং এর enquiry শুরু হয়েছে। মোটামুটি ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ বুকিং ছিল পুজোর মরশুমে। বেশিরভাগেরই পছন্দ ছিল দার্জিলিং-গ্যাংটক প্যাকেজ টুর। কিন্তু এই মুহূর্তে কেউ আর সিকিমগামী হওয়ার ঝুঁকি নিতে চাইছেন না।

ফলে মোড় ঘুরেছে লাটাগুড়ি, গরুমারা, জলদাপাড়া, বক্সা, চিলাপাতা সহ ডুয়ার্সের জঙ্গলও। পাশাপাশি লাগোয়া এ রাজ্যের পাহাড়গুলি যেমন, লাভা লোলেগাঁও, দার্জিলিং এবং আশপাশের জায়গাগুলিতে বেড়ে গিয়েছে কয়েকগুণ। এখন সিকিমের বদলে অন্য কোথাও বুকিং দেওয়া যায় কি না, তা  সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সকলকেই।

পর্যটন সার্কিট সূত্রে এবং বাণিজ্যিক সংস্থাগুলির সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে মোটামুটি পুজোর মরশুমে গড়ে ৫ লক্ষ পর্যটক গ্যাংটক এবং সিকিমের অন্যান্য জায়গা ঘুরতে যান। মনে করা হচ্ছে প্রায় ৩ থেকে সাড়ে ৩ লক্ষ বুকিং ক্যানসেল হতে পারে। এবার এই বিপুল পরিমাণ পর্যটককে অন্য জায়গায় কোথায় বন্দোবস্ত করা যায় তা ভেবে এখন মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হচ্ছে।

যাদের টুরিস্ট স্পটগুলিতে জায়গা দিতে পারা যাবে না, অর্থাৎ যাঁদের ডুয়ার্স দার্জিলিং পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় ব্যবস্থা করা যাবে না ঘোরানোর ব্যবস্থা করার চেষ্টাও করা হচ্ছে। মাঠে মারা যাবে মনে করে তাঁরাও এই বন্দোবস্তে নিমরাজি হচ্ছেন। শিলিগুড়ি হোটেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক উজ্জ্বল ঘোষ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন সিকিমের বিপর্যয়ের ফলে অনেকেই ঘাবড়ে গিয়ে সেখানে বুকিং বাতিল করছেন। বিশেষ করে যাঁরা পরিবার নিয়ে আসবেন তারা ঝুঁকি নিতে চাইছেন। না ফলে ডুয়ার্স তারা এ পর্যটকদের বুকিং কিছু বাড়তে পারে।

গন্তব্য ছিল সিকিম। কিন্তু নিউজলপাইগুড়ি পৌঁছে জানতে পারে সেখানে যাওয়া হবে না। তাই সিকিমের বদলে একদল পর্যটক চলে গেলেন ডুয়ার্স। অন্যান্য দিনের মতই বুধবারও পর্যটকরা আসেন শহরে। তাঁদের মধ্যে অনেকেরই সিকিম যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হড়পাবানের জেরে বাংলা-সিকিম যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় তাঁরা ডুয়ার্সে চলে যান। অনেকে আবার বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। তবে এই ঘটনার পর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা ফোন করে পরিস্থিতির খবর নিচ্ছেন। সকলের মধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। হিমালয়ান হসপিটালিটি ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক এর সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, “এখনও বুকিং বাতিল শুরু হয়নি। তবে যা অবস্থা তাতে বেশ কিছু বুকিং বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।” প্রসঙ্গত, পুজোর আগে রাস্তা ঠিক না হলে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে যাবে পর্যটনে।

Advertisement

কিছুদিন পরেই পুজোর মরশুম শুরু হবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটক সিকিমে ঘুরতে যাওয়ার জন্য বুকিং করে রেখেছিলেন। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ পর্যটক ফোন করে পরিস্থিতি জানতে চেয়েছে। অনেকে আবার বলেও দিয়েছে বৃহস্পতিবার অবধি দেখে বুকিং নিয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবে। এদের বুকিং বাতিল রুখতেই বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজে বেড়াচ্ছেন ট্যুর অপারেটররা। এ বিষয়ে হিমালয়ান হসপিটালিটি ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, “পর্যটকরা ফোন করছে বারবার। আমরা তাদের বলেছি আতঙ্কিত না হতে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে। তবে আমরা সকলকেই বলেছি, সিকিম না যেতে পারলে আমরা তাঁদের দার্জিলিং কিংবা ডুয়ার্সে ঘুরিয়ে দেব। যদিও যেভাবে এই খবর প্রচার হয়েছে তাতে কিছু বুকিং বাতিল হবে বলে আমরা নিশ্চিত।”

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement