Sikkim Disaster Black Market: হড়পা বানে সিকিমে ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর গোটা সিকিম সহ দার্জিলিং পাহাড় আতঙ্কিত। বিশেষ করে পর্যটন মরশুমে যাঁরা সিকিমে গিয়েছিলেন এবং সিকিম থেকে ফিরতে পারেননি, তাঁদের এবং তাঁদের পরিবারের লোকজন আতঙ্কে রয়েছেন। একের পর এক মৃতদেহ উদ্ধার হচ্ছে বিভিন্ন এলাকা থেকে। জলের তোড়ে ভেসে আসা মৃতদেহগুলি শিলিগুড়ির কাছে গজলডোবায় তিস্তা নদীর বাঁধে এসে আটকাচ্ছে। সেখান থেকে উদ্ধার কাজ চলছে। সব মিলিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি।
এরই মধ্যে নতুন করে আরও একটি সমস্যা উদ্ভূত হয়েছে সিকিমের বিভিন্ন এলাকায়। বিশেষ করে গ্যাংটক, রংপো, সিংতাম, জোরথাং, লাচুং, লাচেন শহরগুলিতে শুরু হয়েছে দ্রব্যমূল্যের কালোবাজারি। বিপাকে পড়ে যারা দোকানে যাচ্ছেন বিভিন্ন সামগ্রী কেনাকাটা করতে, তাঁদের কাছ থেকে জোর করে বেশি টাকা আদায় করা হচ্ছে। না দিতে চাইলে বা প্রতিবাদ করা হলে বলা হচ্ছে তাহলে চলে যান। শুধুমাত্র পর্যটকদের জন্য এমন আচরণ করা হচ্ছে তা নয়, স্থানীয়রাও এই একই ঘটনায় ভুক্তভোগী হয়েছেন বলে খবর মিলেছে।
এমনিতেই শিলিগুড়ি যাওয়ার সোজা পথ এই মুহূর্তে বন্ধ। একমাত্র খোলা পথ দিয়ে ঘুরে প্রায় ৪-৫ ঘন্টা অতিরিক্ত সময় ব্যয় করে শিলিগুড়িতে যাওয়া এবং যানজট পেরিয়ে আনাজপত্র, রসদ নিয়ে সিকিমে আসা এখন কঠিন পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার উপর স্টক করে রাখা খাবার-দাবার ও অন্যান্য সামগ্রী চড়া দামে বিক্রি হওয়ার ঘটনায় বিপাকে পড়েছেন সেখানে থাকা কয়েক হাজার মানুষ।
যদিও এর মধ্যে তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করার কথা ঘোষণা করেছে সিকিম সরকার। সিকিম সরকারের নগরোন্নয়ন দফতরের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করে সমস্ত রকম কালোবাজারি বন্ধ করার অবিলম্বে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাঁরা নির্দেশ মানবেন না, তাঁদের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার হুমকি ও দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। পাশাপাশি যাঁরা কোনও দোকানে গেলে এইরকম সমস্যার মুখে পড়বেন, সরাসরি অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কালোবাজারি বন্ধ হয়েছে বলে এমন কোন খবর আসেনি।