Advertisement

Sandeshkhali : 'সন্দেশখালি এখন BJP-র তুরুপের তাস, TMC কীভাবে হ্যান্ডেল করে সেটাই দেখার'

পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান রাজনীতি বুঝতে গেলে সন্দেশখালির ছবিটা আমাদের কাছে পরিষ্কার হওয়া দরকার। সন্দেশখালি ছাড়া এই আলোচনা অসম্পূর্ণ থাকে। সন্দেশখালি নিয়ে আলোচনার অনেকগুলো দিক আছে। তবে প্রাথমিকস্তরেই বলতে হবে, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির কথা।

sandeshkhali
জয়ন্ত ঘোষাল
  • কলকাতা,
  • 13 Feb 2024,
  • अपडेटेड 6:03 PM IST
  • পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান রাজনীতি বুঝতে গেলে সন্দেশখালির ছবিটা আমাদের কাছে পরিষ্কার হওয়া দরকার
  • সন্দেশখালির রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত

পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান রাজনীতি বুঝতে গেলে সন্দেশখালির ছবিটা আমাদের কাছে পরিষ্কার হওয়া দরকার। সন্দেশখালি ছাড়া এই আলোচনা অসম্পূর্ণ থাকে। সন্দেশখালি নিয়ে আলোচনার অনেকগুলো দিক আছে। তবে প্রাথমিকস্তরেই বলতে হবে, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির কথা। সিপিআইএম-এর জমানায় নন্দীগ্রামে পুলিশের গুলি চলল। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তখন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় নন্দীগ্রাম মুসলিম অধ্যুসিত এলাকা ছিল। আর গুলি চলেছিল মুসলিমদের উপরই। সেই ভোটব্যঙ্ক ছিল বামেদের। সেই ঘটনার কথা সবাই জানে। আজ সন্দেশখালিতেও যেন সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটছে। 

সন্দেশখালি এখন বিজেপির তুরুপের তাস। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কতিপয় এবং  ইনসিডেন্টালি তারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, সেখানে দেখা যাচ্ছে শাহাজাহান ছিলেন সেখানকার অঘোষিত রাজা-সম্রাট। সেই শাহাজাহানকে যখন ইডি ধরতে গেল তখন গ্রামবাসী আধিকারিকদের তাড়া করল, এখন দেখা যাচ্ছে গ্রামবাসীরা অসন্তোষ দেখাচ্ছে শাহাজাহানের বিরুদ্ধে। 

সন্দেশখালিতে বিজেপির কোনও ফ্ল্যাগ ছিল না। সেখানে এখন রাজ্যপাল পর্যন্ত গেলেন। এখন গ্রামবাসীদের অনেকেই বলছেন, শুধু শাহাজাহান নন, তার একটা বাহিনী ছিল, তারা অত্যাচার করেছে। ঘটনাচক্রে তার শিকার হিন্দু সমাজ। 

বাংলাদেশে যেমন জামাত উগ্র অবস্থান নিয়ে সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দুরা যেমন নির্যাতিত, সন্দেশখালিকে সেভাবে দেখা হচ্ছে। সন্দশখালিতে বলা হচ্ছে হিন্দুদের উপর অত্যাচার করেছে শাহাজাহান এবং তার দলবল, এই যে রাজনৈতিক তরজা তা এক অন্য মাত্রা পেয়েছে। বলা ভালো রাজনৈতিক ক্ষেত্রে মাইলস্টোনের কাজ করছে। 

শাহাজাহান পালিয়ে গেছে, অনেকে অধরা। কেউ কেউ গ্রেফতারও হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এই নিয়ে কথাও বলেছেন। অনেককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। একটা কোথাও অ্যাকশন হচ্ছে। আর বিজেপি কিন্তু রক্তের স্বাদ পেয়েছে। তারা মনে করছে, আমরা আরও করব। এখন শুভেন্দু-সুকান্তরা যেতে চাইছেন। মোট কথা রাজনীতি সরগরম। 

রাজ্যপাল যখন গেলেন দেখলাম ওখানকার মানুষ তাঁর কাছে অসন্তোষ ব্যক্ত করছে। তিনি বাংলা বুঝুন আর না বুঝুন, মানুষ তাঁর সঙ্গে কথা বলছে। রাজ্যপালের সঙ্গে তো অনুবাদকও থাকে। তারা হয়তো বলে দিচ্ছেন। রাজ্যপাল নিজেও বোঝেন কিছুটা। এখন যেটা দেখার তৃণমূল কীভাবে গোটা বিষয়টা হ্যান্ডেল করেন। কারণ, শুভেন্দুরা বিরোধী দলের লোক। তাঁরা এটা ইস্যু করবেনই। কিন্তু, তৃণমূল সেই পথে হাঁটতে পারবে না। তারা শাসকদল। তারা কীভাবে গোটা ব্যাপারটাকে নিয়ন্ত্রণ করে সেটাই দেখার। তবে সন্দেশখালি নিয়ে এখনই শেষকথা বলার সময় আসেনি। 
 

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement