Loksabha Election 2024 result Coachbehar: কোচবিহারে বিজেপিকে হারিয়ে জয়ে ফিরেছে তৃণমূল। বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে কোচবিহারবাসী ও জেলা তৃণমূলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে নিশীথ প্রামাণিকের হার নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। পরাজিত বিজেপি নেতাকে কটাক্ষ করে তিনি।
কী বলেন মমতা?
মমতা বলেন, "কোচবিহারের সো কলড হোম মিনিস্টারের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে সেখানকার মানুষ।' এজেন্সিকে কাজে লাগিয়েও লাভ হয়নি বলে তাঁর দাবি। যেভাবে ওরা আমাদের হিউমিলিয়েট করেছে, আমরা রাজনৈতিকভাবে তার বদলা নেব।"
গতবার লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ের পর বিধানসভাতেও উদয়ন গুহকে হারিয়ে জেতে বিজেপি। পরে নিশীথ সাংসদ পদে থাকতে ইস্তফা দিয়েছেন। তারপর উপ-নির্বাচনে আর বিজেপি জিততে পারেনি। সেখানে ফের দাঁড়িয়ে জেতেন উদয়ন গুহ। এরপর থেকে শুরু হয়, পঞ্চায়েত নির্বাচনেই বিজেপিকে হঠিয়ে সামনের সারিতে চলে এসেছিল তৃণমূল। তখনই কিছুটা আন্দাজ করা গেলেও বিশ্বাস হয়নি। কিছু জায়গায় বিজেপি (BJP) জিতলেও বেশিরভাগই ঘাসফুলবাহিনীর (TMC)-র দখলে গিয়েছিল। তবে বিজেপির বিশ্বাস ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অত সহজে হারবেন না।
অল্প ভোটের ব্যবধান হলেও শেষমেষ অঘটন ঘটেই গেল। স্থানীয়ভাবে পরিচিত হলেও দেশীয় রাজনীতিতে অচেনা মুখ জগদীশ বর্মা বসুনিয়া বাজিমাত করলেন। তবে তাঁর চেয়ে দলের ও সংগঠনের কৃতিত্ব বেশি। দলের জয়ের সিংহভাগ কৃতিত্ব যাঁর, সেই উদয়ন গুহ জয়ের পর বললেন, "এই জয় সংগঠনের জয়। আমাদের স্ট্র্যাটেজি ছিল ওদের উত্যক্ত করে ভুলের ফাঁদে জড়িয়ে দেওয়া। ওঁরা সেই ফাঁদে পা দিয়েছে। আমরা জয় পেয়েছি। সবাই মিলে একযোগে লড়াই করে জয় এসেছে।"
ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকে রাজ্যে যে কটি আসন হিংসার জন্য চর্চিত ছিল, তার মধ্যে শীর্ষে ছিল দিনহাটাই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক বনাম রাজ্য়ের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ লড়াই সামনে এসেছিল। একাধিকবার রক্তাক্ত হয়েছে এলাকা। প্রকাশ্যে মারামারিও দেখা গিয়েছে দুই মন্ত্রীর মধ্যে। যার ফল ভোটে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে একটা বড় ইস্যু বিজেপির বিরুদ্ধে গিয়েছে, যেটি হল বিজেপির টিকিটে রাজ্যসভা থেকে সাংসদ হওয়া অনন্ত মহারাজ ভোটের আগে বারবার ঘোষণা করেছিলেন পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হবে কোচবিহার বা উত্তরবঙ্গ। ভোটের মুখে তিনি সেই দাবি থেকে সরে গিয়ে নিশ্চুপ হয়ে গিয়েছিলেন। যা ভালভাবে নেয়নি রাজবংশি সমাজ। শেষ পর্যন্ত এই ইস্যু নির্ণায়ক হতে পারে বলে মনে করা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত ফলের জন্য আরও একটু অপেক্ষা করতে হবে।