৮ জুলাই রাজ্য পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে যাতে কোনরকম হিংসার ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে যথেষ্ট তৎপর রাজ্যপাল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে এবার ‘পিস অ্যান্ড হারমনি কমিটি’ খুললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে এই কমিটি গঠন করেছেন রাজ্যপাল ৷
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে হিংসা, অশান্তি চরমে পৌঁছেছে ৷ মনোনয়ন পর্ব থেকে শুরু হওয়া হিংসার শেষ যেন হতেই চাইছে না ৷ বিরোধীদের অভিযোগ, মনোনয়নপর্ব থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত অর্থাৎ ২৪ দিনে মোট ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ নিহতদের মধ্যে রয়েছে এক নাবালকও ৷ মুহূর্মুহূ গুলি, বোমার সাক্ষী থেকেছে মনোনয়ন পর্ব ৷ এরপরই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ছুটে যেতে দেখা গিয়েছে রাজ্যাপালকে ৷ ভাঙড়, ক্যানিং পরিদর্শনের পর রাজভবনে 'শান্তি কক্ষ' খুলেছেন রাজ্যপাল ৷ এবার গঠন করলেন শান্তি কমিটি ৷
বুধবার সন্ধ্যাবেলায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি শুভ্র কমল মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই কমিটি তৈরি করার কথা ঘোষণা করেন খোদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এদিন কয়েকজন বিশিষ্ট অতিথিদের ও আমন্ত্রণ জানানো হয় রাজভবনে। রাজভবনের পক্ষ থেকে এই কমিটির জন্য নির্দিষ্ট নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। মূলত এই পিস অ্যান্ডি হারমনি কমিটি রাজ্যে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করবে রাজ্যপালকে।
রাজ্যে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার বিষয়টি এই কমিটি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখবে বলেও জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে রাজ্যপালের একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে নবান্ন-রাজভবন সংঘাত চরমে উঠেছে ৷ রাজ্যপালের শান্তি কক্ষ খোলা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের শাসকদল ৷ এমনকী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন নিয়েও তীব্র আক্রমণ করেছে তৃণমূল ৷ রাজ্য নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়ে রাজ্য়পালের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ৷ সিভি আনন্দ বোস পক্ষপাতদুষ্ট এবং তাঁর কার্যক্রম নির্বাচনী বিধিভঙ্গের আওতায় পড়েছে বলেও অভিযোগ করেছে শাসক শিবির ৷ আর এই আবহেই রাজভবনের পক্ষ থেকে এই নয়া কমিটির ঘোষণা রাজ্য রাজনীতিতে রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বাড়াবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।