বসিরহাটের মিনাখাঁ ব্লকের কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের কুমারজোল গ্রামের মোহারুদ্দিন গাজি চলতি মাসের ৪ জুন সৌদি আরবে হজ করতে যান। চলতি মাসের ১৫ তারিখ কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রাম সভার নির্বাচনে তার হয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দেন তার এজেন্ট। যেখানে প্রার্থী সশরীরে হাজির ছিলেন না। বিডিও তথা রিটার্নিং অফিসার কী করে সেই নমিনেশন পত্র গ্রহণ করলেন? এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। সৌদি আরব থেকে কী ভাবে ওই তৃণমূল প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিলেন তা জানতে চেয়ে হাইকোর্টে একটি মামলাও হয়। গত ২৪ জুন এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা কমিশনকে সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় এবং অভিবাসন থেকেও ওই ব্যক্তির বিদেশ যাতায়াতের তথ্য চেয়ে পাঠান। তথ্য প্রমাণ খতিয়ে দেখে মনোনয়নে জালিয়াতির বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপরই আদালত নির্বাচন কমিশনকে প্রার্থীর আবেদনপত্র খারিজ করার নির্দেশ দেন। সেই মতো বৃহস্পতিবার মোহারুদ্দিন গাজির মনোনয়ন খারিজ করল কমিশন।
কমিশন সূ্ত্রে খবর, পুলিশ যে রিপোর্ট দিয়েছে, সেই রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ৪ জুন হজ করতে সৌদি আবার যান মোহারুদ্দিন গাজি। ৮ জুন পঞ্চায়েত ভোটে দিন ঘোষণা হয়। ২ দিন পর, ১০ তারিখ বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা পড়ে ওই তৃণমূল নেতার। এখন প্রার্থী যদি চান, তাহলে প্রস্তাবকের মাধ্যমেও মনোনয়ন জমা দিতে পারেন। কিন্তু বিদেশ থেকে মনোনয়নপত্রে কীভাবে স্বাক্ষর করা সম্ভব? সেকারণে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন।
বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, মোহারুদ্দিন গাজি মনোনয়ন পেশের সময় বিদেশে ছিলেন। পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই সৌদি আরবে চলে যান তিনি। তাহলে কীভাবে মনোনয়ন পেশ হবে? হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় অভিবাসন মন্ত্রকও। সেই রিপোর্টেও উল্লেখ ছলি, ৪ জুন হজের উদ্দেশে ভারত ছাড়েন মহিউদ্দিন গাজি। অবশেষে পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন। খারিজ হয়ে গেল তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন।