উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় সিপিএম কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় তৃণমূল যুক্ত নয়। বৃহস্পতিবার একথা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে ভাঙড়ের হিংসার ঘটনায় নাম না করে আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকিকে কাঠগড়ায় তুললেন।
এ দিন মমতা বলেন,'ইসলামপুর ও চোপড়ার ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবেই যুক্ত নয়। যারা করেছে তাদের টিকিট দিইনি। মনে রাখবেন, তারা গতকাল পর্যন্ত টিকিট চেয়েছিল। তাদের কার্যকলাপে সন্তুষ্ট নয় বলে টিকিট দিইনি। ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্যতা দেখে মনোনয়ন দিয়েছি। চোপড়ায় নিজেদের মধ্যে ঘটনা ঘটেছে। দল যুক্ত নয়। কড়া পদক্ষেপ করতে বলেছি পুলিশকে।'
ভাঙড়ের হিংসার দায়ও পক্ষান্তরে আইএসএফের উপর চাপিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে তৃণমূলের পাল্টা হিংসায় মুখ্যমন্ত্রীর সাফাই, তৃণমূল প্রতিবাদ করেছে। মমতার কথায়,'ভাঙড়ে বিরোধী যে আছে নতুন জিতেছে, সে পরশুদিন উস্কানি দিয়েছিল। সে-ই ভাঙচুর করেছে। মুসলিমদের বিপথে পরিচালনা করেছে। প্ররোচনামূলক সাম্প্রদায়িক স্লোগান দিয়ে সবাইকে জোগাড় করেছে। তার পর ওখানে ভাঙচুর, লুঠতরাজ ও অগ্নিসংযোগ করেছে। ফলে কাল আমাদের পক্ষ থেকে একটা প্রতিবাদ হয়েছে। যেটা সত্যি সেটা বলব।'
বৃহস্পতিবারও ভাঙড় ২ বিডিও অফিসের সামনে চলছে বোমবাজি। গোটা চত্বর তৃণমূলের লোকজনের ঘিরে রেখেছে বলেও অভিযোগ।গুলিবিদ্ধ হয়ে এক আইএসএফ কর্মীর মৃত্যুর খবর মিলেছে। মমতা বলেন,'আজকের যে ঘটনা, আমি জানি না, প্রশাসনকে বলেছি কঠোরভাবে ব্যবস্থা নিতে।'
সিপিএম-বিজেপিকে একযোগে নিশানা করেছেন মমতা। তিনি বলেন,'ন্যক্কারজনক কয়েকটি রাজনৈতিক দল। যাদের নাম বলতে ঘৃণা হয়, লজ্জা হয়। যারা মানুষ কেটে জলে ভাসিয়ে দিত। হাত কাটত, পা কাটত, মুণ্ড কাটত, কাউকে মনোনয়ন দাখিল করতে দিত না। এক হাতে তালি বাজে না। আমাদের কতবার মেরেছেন! এতকিছুর পরও কোনও ব্যবস্থা নিইনি। এবার বেশি বাড়াবাড়ি করছেন। যদি মনে করেন কোনও কিছু এক তরফা হবে, মানুষ এর জবাব দেবে।'