West Bengal Panchayet Poll 2023 Coachbehar Shitalkuchi Unrest: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহার। ফের শিরোনামে শীতলকুচি। কোচবিহার শান্ত হওয়ার নাম নেই।জেলা জুড়ে একের পর এক রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত এলাকা। মঙ্গলবার গীতালদহে অশান্তির পর এবার শীতলকুচি। রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তাল কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকা। তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষের অভিযোগ উঠেছে। এমনকী গুলি চালানোর অভিযোগ রয়েছে। চূড়ান্ত অশান্তি শীতলকুচির থানার ডাকঘরা গ্রাম। এই সংঘর্ষে ঘটনায় গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। মোটরবাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এরপরই তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আসে শীতলকুচি থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালেও এলাকা থমথমে। তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপি প্রথমে হামলা চালায়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি নেতৃত্ব।
রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায়ের দাবি, এদিন দুপুরে ডাকঘড়া তৃণমূল কার্যালয়ে হঠাৎই বিজেপি আক্রমণ করে। গুলি চালায়। একটি মোটরবাইকে আগুন লাগিয়ে দেয়। এরপরই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুহূর্তের মধ্যে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। যদিও আক্রমণের অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। পালটা বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি সুকুমার রায় সংবাদমাধ্যমকে জানান, তৃণমূলই বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাস করছে। আমাদের নেতা কর্মীদের মারধর করছে।
এর আগে মঙ্গলবার জেলার দিনহাটাতে অশান্তি ছড়িয়েছে। অশান্তির পর বুধবার সকালে কোচবিহারেরই গীতালদহে ফের গোলমাল বাধে। মঙ্গলবার ভোররাতে দিনহাটার এই গীতালদহর জারিধরলা গ্রামে গুলি চালনার অভিযোগ ওঠে। বাবু হক নামে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। তা নিয়ে জলঘোলা চলছে। বাবুকে বাংলাদেশি বলেও দাবি করেছেন স্থানীয় সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। তা নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী,তৃণমূলের উদয়ন গুহ।ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয় বলেও জানা যায়। বুধবারও গীতালদহে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। গুলিবিদ্ধ হন এক তৃণমূল প্রার্থীর ভাই। গোটা ঘটনায় এলাকায় ফের নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
দু'দিন আগেই কোচবিহার থেকে পঞ্চায়েতে প্রচার শুরু করেন মুখ্য়মন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই একের পর অশান্তির ঘটনা উঠে আসতে থাকে কোচবিহার জেলা থেকে। প্রশাসনকে আরও কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে আর্জি জানানো হয়েছে শাসক ও বিরোধী উভয় দলের তরফে। যদিও অশান্তি থামার নাম নেই।