ভারতের কাছে আজ এক ঐতিহাসিক দিন। চাঁদে অবশেষে পা রাখল ভারত। একদম কাটায় কাটায় সন্ধে ৬টা ০৪ মিনিটে চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করে ল্যান্ডার বিক্রম। দেশজুড়ে উচ্ছ্বাস। ভারতের জয়জয়কার বিদেশের মাটিতেও। বিজ্ঞানের পাশাপাশি জ্যোতিষেও চাঁদ বা চন্দ্রমার মাহাত্ম্য রয়েছে। চাঁদের শুভ ও অশুভ প্রভাব বরাবরই মানুষের ওপর পড়তে দেখা গিয়েছে। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, কর্কট রাশির গ্রহ অধিপতি হল চাঁদ। জাতকের মনের উপর গভীর প্রভাব বিস্তার করে থাকে পৃথিবীর একমাত্র এই উপগ্রহ।
কোষ্ঠীতে চাঁদ দুর্বল হলে
এছাড়া জন্মছকে বা কোষ্ঠীতে চাঁদের শক্তিশালী বা দুর্বল হওয়া বিরাট প্রভাব বিস্তার করে। কোষ্ঠীতে ভালো আবস্থানে থাকা চাঁদ জাতককে সুন্দর চেহারা অধিকারী করে তোলে। এই জাতকরা অত্যন্ত আকর্ষণীয় ও নানা গুণের অধিকারী হন। অন্যদিকে কোষ্ঠীতে চাঁদ দুর্বল অবস্থানে থাকলে মানসিক সমস্যা, ঘুমের অভাব, সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে হয় জাতককে। এমন ব্যক্তি সব সময় মানসিক ভাবে অস্থির হন। সহজেই মানসিক অবসাদের শিকার হন তিনি। তাই জেনে নিন কোষ্ঠীতে চাঁদের অশুভ দশা জাতকের জীবনে কী কী সমস্যা নিয়ে আসতে পারে।
চাঁদের অশুভ প্রভাব
জ্যোতিষবিদরা জানাচ্ছেন যে কারোর জন্মছকে চাঁদ দুর্বল অবস্থানে থাকলে সেই ব্যক্তি নানা জল সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগতে থাকেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে যে ব্লাডারের সমস্যা, ডায়াবেটিস, ডায়রিয়া, ইনসমনিয়া, চোখের সমস্যায় ভুগতে হয় জাতককে। এছাড়া মানসিক অবসাদ, জন্ডিস, অ্যাসথমা এবং ফুসফুসের সমস্যাও দেখা দিতে পারে তার।
চাঁদের অশুভ প্রভাব দূর করার উপায়
-জন্মছকে চন্দ্র দুর্বল থাকলে জাতকের মুক্তো ধারণ করা উচিত। রূপো দিয়ে বাঁধিয়ে মুক্তোর আংটি আঙুলে পড়ুন।
-নিজের পকেটে বা পার্সে সব সময় রূপোর একটা চৌকো পাত রাখুন।
-জ্যোতিষ অনুসারে চাঁদ মা ও মামার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তাই চাঁদ অশুভ হলে নিজের মাকে সব সময় খুশি রাখার চেষ্টা করুন। মায়ের আশীর্বাদ থাকলে চাঁদের অশুভ দোষ কেটে যায়।
-চাঁদ দুর্বল হলে প্রতিদিন শুদ্ধ জলে কাঁচা দুধ মিশিয়ে শিবলিঙ্গের অভিষেক করুন। এছাড়া প্রতি পূর্ণিমা তিথিতে গরুর দুধের তৈরি ক্ষীর চন্দ্র দেবতার উদ্দেশ্যে নিবেদন করুন। পুজোর এই ক্ষীর পরিবারের সবাই মিলে খান। এর ফলে উপকার পাওয়া সম্ভব।