হিন্দু ধর্মে গাছে জল দেওয়া বেশ পুণ্যের কাজ বলে মানা হয়ে থাকে। অন্যদিকে তুলসী গাছকে হিন্দু ধর্মে খুবই পবিত্র বলে মনে করা হয়। আর তুলসী গাছে নিয়মিতভাবে জল দেওয়াও খুব শুভ বলে মানা হয়ে থাকে। তুলসী গাছকে মা লক্ষ্মীর অবতার বলে মনে করা হয়। তাই প্রতিটি ঘরেই তুলসী গাছ লাগানোর চল রয়েছে। হিন্দু ধর্মশাস্ত্রে তুলসী গাছকে মা লক্ষ্মীর অবতার বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস অনুসারে, যেখানেই তুলসী গাছ থাকে, সেখানেই দেবতার আশীর্বাদ থাকে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে, তুলসী গাছের নিয়মিত পুজো কেবল আপনার সৌভাগ্যই বাড়ায় না বরং দেবতাদের বিশেষ আশীর্বাদও (তুলসী পুজো) প্রদান করে। এই কারণে তুলসী গাছে জল দেওয়াও বিশেষ বিবেচিত হয়, কিন্তু আপনি কি জানেন যে রবিবার এবং একাদশীতে তুলসী গাছে জল দেওয়া যায় না। এর পিছনে রয়েছে বিশেষ কারণ।
তুলসী গাছে একাদশীতে জল দেবেন না
একাদশীর দিন তুলসী পাতা ছেঁড়া এবং এই দিনে তুলসীকে জল দিতে নেই। কথিত আছে যে দেবী তুলসী প্রতি মাসে ভগবান বিষ্ণুর জন্য নির্জলা উপবাস করেন। আসলে দেবউঠানী একাদশী দিন তুলসীর বিয়ে হয়েছিল ভগবান শালিগ্রামের সঙ্গে। তাই মানা হয় যে দেবী তুলসী প্রত্যেক একাদশী তিথিতে ভগবান বিষ্ণুর জন্য নির্জলা উপবাস করেন। এইজন্য একাদশীর দিন ভুলেও তুলসীতে জল দেবেন না কারণ এইদিন তুলসীর পাতা ছেঁড়া বারণ রয়েছে।
রবিবারেও জল দেওয়া নিষেধ
যদিও তুলসী গাছে নিয়মিত জল নিবেদন করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়, তবে শাস্ত্র অনুসারে, রবিবার তুলসীকে জল দেওয়া নিষেধ। এই বিষয়ে, পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, তুলসী গাছ রবিবারও ভগবান বিষ্ণুর জন্য নির্জলা উপবাস পালন করেন। এমন পরিস্থিতিতে রবিবার তাঁকে জল নিবেদন করলে তাঁর উপবাস ভেঙে যায়, তাই রবিবার তুলসীকে জল দেওয়া উচিত নয়। এটাও বিশ্বাস করা হয় যে রবিবার তুলসী গাছে জল দিলে নেতিবাচক শক্তি বাড়িতে প্রবেশ করে।
তুলসী পাতা ছেঁড়ার নিয়ম
একাদশীর দিন ভগবান বিষ্ণুর পুজোর জন্য সমর্পিত। তুলসী গাছ খুবই প্রিয় ভগবান বিষ্ণুর। এই গাছের পাতা ছাড়া পুজো অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। কিন্তু একাদশীর দিন তুলসী পাতা ছেঁড়া উচিত নয়। তবে একদিন আগে দশমী তিথিতে তুলসী পাতা ছিঁড়ে রাখুন।
-চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণের দিন এবং রবিবার তুলসা গাছের পাতা ছেঁড়া যায় না। এইদিনে তুলসী পাতা দিয়ে পুজো করলে সেই পুজোর ফল প্রাপ্ত হবে না।
-সূর্যাস্তের পর তুলসী পাতা ছিঁড়তে নেই। এতে বাড়িতে দুর্ভাগ্য বয়ে আনে।