মানুষ লাকি গ্রহের প্রভাব বাড়াতে এবং আনলাকি গ্রহের প্রভাব কাটাতে বিভিন্ন ধরনের উপায় অবলম্বন করেন। কেউ পুজোপাঠ-দানধ্যান করেন, তো কেউ আবার জ্যোতিষীদের প্রতিকার গ্রহণ করে। জ্যোতিষ মতে রত্নের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এর মাধ্যমে গ্রহের শুভ-অশুভ প্রভাবকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এক্ষেত্রে রাশি অনুযায়ী ও গ্রহের অবস্থান অনুযায়ী রত্ন ধরনের পরামর্শ দেন জ্যোতিষীরা। সঠিক রত্ন যেমন জীবনে সুখ ভরে দিতে পারে, তেমনই ভুল রত্ন জীবনে নিয়ে আসতে পারে দুঃখ দুর্দশা। তাই রত্ন ধারনের আগে জ্যোতিষীদের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
হিরে - শুক্র বৃষ রাশির অধিপতি। হিরে শুক্রের সঙ্গে সম্পর্কিত। যাঁদের রাশিতে শুক্র দুর্বল হয়ে যায় বা নেতিবাচক গ্রহের প্রভাবে আসে তাঁরা শুক্রের শুভ ফল পান না। শুক্র যদি শক্তিশালী হয়, তবে এটি সম্পদ বৃদ্ধি করে, সম্মান এবং গ্ল্যামার বাড়ায়। বৃষ রাশির মানুষদের জন্য শুক্রের ভাল অবস্থান খুবই জরুরি। কারণ এটি তাদের অধিপতি। এই রাশির জাতক-জাতিকারা সঠিক জ্যোতিষীর পরামর্শ নিয়ে হিরে পরতে পারেন। মনে রাখবেন শুক্র হল চাকরি, উন্নতি প্রযুক্তি এবং বিলাসবহুল জীবনের দাতা।
পান্না - বৃষ রাশির মানুষদের দ্বিতীয় রত্ন হিসেবে পান্না পরতে পারেন। বৃষ রাশিতে বুধ গ্রহ ধন-লাভ, বুদ্ধি-শক্তি, সন্তান সুখ, খ্যাতি, সম্মান ও সৌভাগ্য প্রদান করেন। বুদ্ধিমত্তা এবং শিশুদের জন্য ভাল ভবিষ্যৎ তৈরি করতে বুধকে খুশি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বৃষ রাশির মানুষদের জন্য পান্না এবং হিরের সংমিশ্রণ বিশেষ ফলদায়ক।
নীলা - শনিদেবের আশীর্বাদ পাওয়ার মাধ্যম হতে পারে নীলকান্ত মণি বা নীলা। বৃষ রাশির জাতকদের জন্য এটি খুবই উপকারী গ্রহ। শনিদেবের আশীর্বাদ পেলে বৃষর মানুষেরা কর্মজীবনে উন্নতি পান। এমনকী সরকারী চাকরিও পেতে পারেন। সম্মান এবং অর্থনৈতিক আয় ক্রমাগত বৃদ্ধি পায়। কর্ম এবং ভাগ্যের দেবতা শনি যদি আশার্বাদ হন, তাহলে কোনও মানুষকে আর হতাশার মুখ দেখতে হয় না।
আরও পড়ুন - 'প্রথম আড়াই বছর আমায় দেওয়া হোক, না হলে কিছু নয়'