হিন্দু ধর্মে তুলসী গাছকে পূজনীয় ও পবিত্র বলে মানা হয়। জ্যোতিষ শাস্ত্রে তুলসী গাছের সঙ্গে যুক্ত অনেক উপায় সম্পর্কে বলা হয়েছে। বাস্তু শাস্ত্রে তুলসীকে নিয়ে অনেক কথাই বলা হয়েছে। অপরদিকে, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে যদি দেখেন তাহলে তুলসী গাছের বীজ, পাতা, শিকড়ে বহু ঔষধীয় গুণ রয়েছে। অধিকাংশ ঘরেই তুলসী গাছ থাকে। এর সঙ্গে তুলসীকে মা লক্ষ্মীর রূপ বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে বাড়িতে তুলসীর গাছ থাকে, সেখানে সর্বদা মা লক্ষ্মীর বসবাস হয়ে থাকে। তবে তুলসী গাছকে নিয়ে কিছু নিয়ম পালন অবশ্যই করা দরকার। নয়তো দুর্ভাগ্য নেমে আসতে পারে।
-অধিকাংশ বাড়িতে তুলসীর একটাই গাছ থাকে। কিন্তু অনেক সময়ই গাছের বীজ থেকে অনেকগুলি গাছ হয়ে যায়। যার ফলে একের অধিক গাছ দেখা যেতে থাকে। তবে মনে রাখবেন বাড়িতে তুলসীর গাছ যেন বিজোড় সংখ্যা অর্থাৎ ১, ৩, ৫, ৭- যেন হয়। বিজোড় সংখ্যায় তুলসী গাছ থাকা শুভ বলে মনে করা হয়।
-তুলসীর গাছকে পূজনীয় বলে মনে করা হয়। তাই স্নান না করে তুলসী গাছকে ছোঁবেন না। এমনকী জুতো-চপ্পল পরেও তুলসী গাছ ছুঁতে নেই। এরকম করলে মা লক্ষ্মী রুষ্ট হতে পারেন। তুলসী গাছের আশপাশ সর্বদা পরিষ্কার-পরিছন্ন রাখা দরকার। এর পাশে জুতো-চপ্পল, ঝাঁটা, ডাস্টবিন রাখবেন না।
-তুলসী গাছ কখনও সরাসরি মাটিতে লাগাবেন না। তুলসী গাছ সবসময় টবে লাগানো উচিত। তুলসী গাছ লাগানোর সবচেয়ে শুভদিন হল বৃহস্পতিবার। এইদিন তুলসী গাছ লাগালে সর্বদা বাড়িতে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকে।
-বাড়ির পূর্ব বা উত্তর-পূর্ব দিকে তুলসী গাছ লাগান। এতে করে ঘরে তুলসী গাছ লাগানো শুভ বলে মনে করা হয়। দক্ষিণ দিকে তুলসী গাছ লাগাবেন না। অন্যদিকে, রবিবার, একাদশী এবং সূর্যগ্রহণের সময়, তুলসী গাছকে স্পর্শ করবেন না এবং জল নিবেদন করবেন না।