শনিদেবকে ন্যায়ের দেবতা বলা হয়ে থাকে। শনিদব মানুষের কর্মফল অনুযায়ী ফল প্রদান করে থাকেন। শনিদেব সন্তুষ্ট করা মোটেও সহজ কাজ নয়। শনিদেবের পুজো করার সময় পবিত্রতা, শুদ্ধতা ও স্বচ্ছতাকে মাথায় রাখা খুব জরুরি। জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি ও শান্তি বজায় থাকে তাই শনিবার করে শনিদেবের পুজো এবং এই গরমে শনির উপায় আপনাকে উন্নতি দিতে পারে। এছাড়াও, শনিদেব সমস্ত গ্রহের মধ্যে সবচেয়ে ধীর গতিতে চলেন, তাই এর শুভ এবং অশুভ প্রভাবও যে কোনও রাশির উপর দীর্ঘকাল স্থায়ী হয়।
কথিত আছে যে গৃহ, রাশিচক্র বা ব্যক্তি যার উপর শনির তির্যক বা তির্যক দৃষ্টি পড়ে তাদের নানা ধরনের ঝামেলায় পড়তে হয়। তবে এমন কিছু পরিস্থিতি রয়েছে যখন শনিদেব উপকারী। কিছু রাশি শনি দেবের প্রিয় এবং তিনি সর্বদা তাদের উপর আশীর্বাদ রাখেন। এই ধরনের লোকদের জীবনে সবসময় সুখ থাকে এবং তাদের কোষাগার টাকায় পূর্ণ থাকে। কিন্তু ন্যায়ের দেবতা হওয়ায় শনিদেবও অন্যায় কাজের শাস্তি দেন। অতএব, আপনি যদি শনিদেবের আশীর্বাদ চান তবে আপনার এই ভুলগুলি করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
শনি মহারাজ কোন রাশির প্রতি সদয়?
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, তুলা রাশি, মকর রাশি, কুম্ভ রাশিতে সর্বদা তুষ্ট থাকেন শনি। যখন শনির দিকটি তার নিজের রাশিতে বা উচ্চতর চিহ্নে থাকে তখন এটি উপকারী বলে বিবেচিত হয়।
শনির কৃপা পেতে পারেন এরাও
শনি যখন মেষ, কর্কট বা সিংহ রাশিতে থাকে, তখন এটি উপকার নিয়ে আসে। বৃহস্পতি যখন শনিকে দিক করে তখন এটিও উপকারী বলে বিবেচিত হয়। যখন শনি কুম্ভ রাশিতে থাকে তখন এটি শুভ ফল দেয়।
শনির প্রিয় রাশি
মকর ও কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য শনির হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান রয়েছে। এছাড়াও বৃষ রাশির প্রতিও শনির কৃপাদৃষ্টি সর্বদা থাকে। এমনকী শনি যখন বৃষ রাশির মধ্য দিয়েও চলে, তখনও প্রভাব নেতিবাচক হয় না। তুলা রাশির জাতকদের সাড়েসাতি ও ধাইয়ার সময়েও নুন্যতম চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। ধনু রাশির সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক রয়েছে শনির।