৪৫ দিন পর, ফের একবার ১৪১ দিনের জন্য বক্রী হয়ে যাবে শনি। এছাড়াও, ১২ জুলাইয়ের পর ধনু রাশির জাতিক-জাতিকারা ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত সাড়ে সাতির শিকার হবেন। এই পরিস্থিতিতে এই রাশির জাতক জাতিকাদের শনির প্রকোপের মুখে পড়তে হতে পারে। জ্যোতিষীরা জানাচ্ছেন, ধনু রাশির জাতক জাতিকারা একটা দীর্ঘ সময় সাড়ে সাতির শিকার হবেন। এমতাবস্থায় ছোট একটি প্রতিকারই তাদের শনির প্রকোপ থেকে বাঁচাতে পারে। ধনু রাশি ছাড়াও মকর ও কুম্ভ রাশিতেও শনির সাড়ে সাতি থাকবে।
জ্যোতিষ মতে, সাতটি শস্য নিবেদনে শনিদেব খুবই খুশি হন। একে বলা হয় সপ্ত ধান্য। এর মধ্যে রয়েছে যব, গম, চাল, তিল, ভুট্টা, উরদ এবং মুগ। যাঁরা শনির সাড়ে সাতি বা শনির ঢাইয়ার শিকার, তাঁরা সপ্ত ধান্য নিবেদন করে শনির প্রকোপ এড়াতে পারেন। সপ্ত ধান্য শনিদেবের এত প্রিয় কেন? এর পেছনেও রয়েছে কাহিনাী।
সপ্ত ধান্য শনির প্রিয় কেন?
একবার শনিদেব মহা দুশ্চিন্তায় ছিলেন। শনিদেবকে চিন্তিত দেখে নারদ মুনি তাঁকে কারণ জিজ্ঞাসা করেন। তখন শনিদেব বললেন, কর্মের ফল অনুসারে তাঁকে সপ্ত ঋষির প্রতি ন্যায়বিচার করতে হবে। তখন নারদ বলেন যে কিছু করার আগে শনিদেবকে সাত ঋষির পরীক্ষা নিতে হবে। নারদের পরামর্শ পছন্দ হয় শনিদেবের। তিনি ব্রাহ্মণের ছদ্মবেশ ধারণ করেন এবং সপ্ত ঋষিদের কাছে পৌঁছান।
সাত ঋষির সামনে শনিদেব তাঁর অশুভ কাজ শুরু করেন। তা দেখে সাত ঋষি বলেন, শনিদেব কর্মের ফল দেন। এছাড়াও, তিনি সূর্যের পুত্র এবং ভগবান শিবের তাঁর উপর বিশেষ কৃপা রয়েছে। একথা শুনে শনিদেব প্রসন্ন হয়ে স্বরূপ ধারণ করেন। এরপর, সাতজন ঋষি শনিদেবকে একটি করে শস্য দিয়ে পূজা করেন এবং তাঁকে উপহার দেন। যাতে খুশি হন শনিদেব।
তখন শনিদেব বলেন, যে ব্যক্তি সপ্ত শস্য দিয়ে তাঁর পুজো করবেন তিনি তাঁর দৃষ্টি থেকে মুক্ত থাকবেন। সেই থেকে শনিদেবের পুজোয় সাত শস্য নিবেদনের রীতি চলে আসছে। মনে করা হয়, শনিদেবকে পূর্ণ বিশ্বাসের সঙ্গে সাতটি শস্য নিবেদন করলে নিষ্ঠুর অবস্থার প্রভাব হ্রাস পায়, শত্রুদের বিনাশ হয় এবং অকাল মৃত্যু আটকে যায়।
আরও পড়ুন - কাপুর পরিবারে একমাত্র রণবীরই মাধ্যমিক পাশ পুরুষ, কত নম্বর পেয়েছিলেন?