Advertisement

Shani Sade Sati: শনির সাড়েসাতি চলছে? ভুল কাজ করে বড়ঠাকুরকে রুষ্ট নয়, এই উপায়ে করুন প্রসন্ন

Shani Sade Sati: শনিদেবকে ন্যায়ের দেবতা বলে মানা হয়ে থাকে। শনি প্রত্যেক ব্যক্তিকে তাঁর কর্ম অনুযায়ী ফল দিয়ে থাকেন। শনিদোষের মধ্যে সবচেয়ে কষ্টকর পর্যায় হল শনির সাড়েসাতি। শনির সাড়েসাতির সময় তাঁকে অনেক কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। শনির সাড়েসাতি সাড়ে সীত বছর পর্যন্ত চলা গ্রহদশা যার তিনটে চরণ থাকে।

শনির সাড়েসাতি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 13 Apr 2024,
  • अपडेटेड 8:02 PM IST
  • শনিদেবকে ন্যায়ের দেবতা বলে মানা হয়ে থাকে।

শনিদেবকে ন্যায়ের দেবতা বলে মানা হয়ে থাকে। শনি প্রত্যেক ব্যক্তিকে তাঁর কর্ম অনুযায়ী ফল দিয়ে থাকেন। শনিদোষের মধ্যে সবচেয়ে কষ্টকর পর্যায় হল শনির সাড়েসাতি। শনির সাড়েসাতির সময় তাঁকে অনেক কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। শনির সাড়েসাতি সাড়ে সীত বছর পর্যন্ত চলা গ্রহদশা যার তিনটে চরণ থাকে। শনি সব গ্রহদের থেকে সবচেয়ে ধীর গতিতে চলা গ্রহ বলে পরিচিত। শনি গ্রহের এক রাশি থেকে অন্য রাশিতে যাত্রা করতে সময় লাগে আড়াই বছর। শনির সাড়েসাতির সময় একজন মানুষকে অনেক কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। 

শনির সাড়েসাতির প্রভাব
শনির সাড়েসাতিতে ব্যক্তি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকেন। শনিদেবকে কর্মফলদাতা বলা হয়। যে সকল মানুষের জন্মকুণ্ডলীতে শনির অবস্থান শুভ, তাদের জন্য শনির সাড়েসাতি অত্যন্ত ফলদায়ক। সেই সঙ্গে যাদের উপর শনি ভার ভারী বা তাদের কুণ্ডলীতে শনির অবস্থান দুর্বল তাদের সাড়েসাতির কারণে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। শনির সাড়েসাতিতে চাকরিতে বাধা, পদোন্নতিতে বাধা, ব্যবসায় লোকসান, অর্থের অভাব, ঋণের বোঝা, আর্থিক সঙ্কট, শারীরিক দুর্বলতা, ক্লান্তি, অলসতা ও রোগব্যাধির সম্মুখীন হতে হয়।

এই সময় কী করবেন না
শনির সাড়েসাতির সময়, একজন ব্যক্তির উচিত যে কোনও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করা থেকে বিরত থাকা। বাড়িতে বা কর্মক্ষেত্রে বিনা কারণে কারো সঙ্গে তর্ক করা এড়িয়ে চলা উচিত। গাড়ি চালানোর সময় সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। মিথ্যা কথা বলা, প্রতারণা করা, চুরি করা, অন্যকে হয়রানি করা এবং অন্যায় উপায়ে অর্থ উপার্জনের মতো অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত। রাগ ও লোভ নিয়ন্ত্রণ করুন। বাসি ও নষ্ট খাবার খাবেন না। নিয়মিত সাত্ত্বিক খাবার খান।

যাদের উপর শনি সাড়েসাতি রয়েছে তাদের রাতে একা ভ্রমণ করা উচিত নয়। শনি ও মঙ্গলবার মাংস এবং অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন। এই দুই দিনেই কালো কাপড় বা চামড়ার জিনিস কেনা থেকে বিরত থাকা উচিত।

Advertisement

শনির প্রতিকার
সাড়েসাতির সময় শনিদেবকে প্রসন্ন করার চেষ্টা করুন। প্রতি শনিবার শনি দেবের পুজো করা উচিত। জ্যোতিষশাস্ত্রের পরামর্শ নেওয়ার পরে আপনি  নীলকান্তমণি রত্ন পরতে পারেন। এতে সাড়েসাতির প্রভাব কমে যায়। 

শনির অশুভ প্রভাব এড়াতে প্রতিদিন হনুমান চালিশা পাঠ করা খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। শনি ও মঙ্গলবার গরীব-দুঃখী মানুষকে খাবার খাওয়ান এবং বস্ত্র দান করুন। যারা সাড়েসাতির কবলে তাদের প্রতিদিন শনি স্তোত্র পাঠ করা উচিত।

গরীব, অসহায় ও পশুদের সেবা করলে পুণ্য লাভ হয় এবং শনিদেব খুশি হন। সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময় ধ্যান করাও শনিদেবকে খুশি করার একটি ভাল উপায়। শনিবার কালো কাপড় ও তেল দান করলে সাড়েসাতি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement