ভালো-মন্দ মিশিয়েই স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক চলতে থাকে। দোষ-গুণ সত্ত্বেও অনেকের বিবাহিত সম্পর্কে ভালোবাসা, স্নেহ থাকে। আমাদের চারপাশে এমন অনেক দম্পতি রয়েছে, যাদের দাম্পত্য জীবনে সমস্যা থাকলেও তারা সফল দম্পতি। আবার এমন অনেক দম্পতি রয়েছে, যাদের সমস্যার শেষ নেই। ঝগড়া-অশান্তি লেগেই রয়েছে। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী, কিছু নির্দিষ্ট রাশির মধ্যে এই ধরনের সমস্যা দেখা যায়। কোন কোন রাশির বিবাহিত জীবনে সুখ ও আনন্দের অভাব থাকে, কারা ক্রমাগত সমস্যা সৃষ্টি করতে থাকেন জেনে নিন এখানে।
বৃষ রাশি
এই রাশির জাতকরা শান্ত ও বিশ্বস্ত বটে। এঁদের আপনারা যে কোনও কথাই সরাসরি জিজ্ঞেস করতে পারেন। কিন্তু জ্যোতিষ বলছে এই রাশির মেজাজ বিগড়ে থাকলে এঁরা আপনার যে কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে দ্বিধা বোধ করবেন না। তার উত্তর যত কটুই হোক না-কেন এঁরা তা সোজাসুজি আপনার মুখের ওপর বলে দেবেন। এমনকি পরিস্থিতি এমন স্তরে পৌঁছায় যে এই রাশির জাতকরা নিজের জীবনসঙ্গীর সঙ্গে খারাপ ভাষায় কথা বলার আগেও দুবার ভাবেন না।
কর্কট রাশি
এই রাশির জাতকরা দয়ালু প্রবৃত্তির হলেও, একবার রাগে ফেটে পড়লে এঁদের নিয়ন্ত্রণে আনা মুশকিল। রাগের মাথায় এই রাশির জাতকরা এমন অনেক কথাই বলে ফেলবেন, যা কখনও ফিরিয়ে নিতে পারেন না। পরিস্থিতি এমন পর্যায় পৌঁছয় যে তা অপরপক্ষের মূল্যবোধ ও মর্যাদাকে ছিন্নভিন্ন করে দিতে পারে। এমনকি এর ফলে অনেক সময় কর্কট রাশির জীবনসঙ্গী আত্মসম্মান বোধ দীর্ঘকালের জন্য আহত হতে পারে।
সিংহ রাশি
কিছু কিছু রাশি এমন রয়েছে, যাঁরা স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে নিজেদের আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করতে পারেন না। সিংহ রাশির জাতকরাও তাঁদের মধ্যে একজন। এই রাশির জাতকদের মন খারাপ হলেই তাঁরা নিজের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির ওপর রাগে ফেটে পড়েন। সিংহ জাতকরা রেগে থাকুক, অফিসেক কাজে হতাশ বা বিরক্ত থাকুন না-কেন এঁদের সব রাগ গিয়ে পড়ে কাছের মানুষের ওপরই। অধিকাংশ ক্ষেত্র জীবনসঙ্গীকেই এঁদের রোষানলে দগ্ধ হতে হয়। যা এই রাশির জাতকদের বিবাহিত সম্পর্ককে অসুখী করে তোলে।
মীন রাশি
অনেকেই এটা বুঝতে পারেন না যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মারধরই শুধুমাত্র বিষাক্ত আচরণের মাপকাঠি হতে পারে না। যেমন জলচিহ্নের এই রাশির সঙ্গে ঝগড়া হলে আপনার শরীরে কোনও আঁচড় পড়বে না ঠিকই কিন্তু তাঁদের শব্দ-বাণে আপনার মন ক্ষতবিক্ষত হয়ে যেতে পারে। তাঁদের কথাবার্তা আপনার অন্তরাত্মাকে নাড়িয়ে দিতে পারে। মিথ্যাবচন, পুরনো অভিযোগ, অতীত বিবাদের প্রসঙ্গ টেনে এনে এঁরা আক্রমণ করেন। যার ফলে দাম্পত্য সম্পর্কে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ গড়ে ওঠে।