বাড়ির বাস্তু যদি ঠিক থাকে তবে সব ধরনের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। কিন্তু বাস্তু ত্রুটি থাকলে বাড়ির ও বাড়ির সদস্যদের একাধিক সমস্যার সম্মুখিন হতে পারে তাঁরা। সেরকমই বাড়ির কোন জিনিস কোথায় রাখা উচিত তা নিয়েও বাস্তুতে বলা রয়েছে। বিশ্বাস করা হয় যে বাস্তু অনুসারে যদি জিনিস না রাখা হয় তাহলে বাস্তু দোষ উৎপন্ন হতে পারে এবং তার কুপ্রভাব বাডির সদস্যদের ওপর পড়বে। তাই বাড়ির যে কোনও জিনিস রাখার আগে তা বাস্তু অনুযায়ী রাখুন। তাহলে শুভ ফল প্রাপ্ত হবে। সেরকমই আচারের বয়াম কোথায় রাখা উচিত, তাও বলা আছে বাস্তু শাস্ত্রে।
শীতকালে বিভিন্ন ধরনের আচার তৈরি করা হয়। আচার খেতে সকলেই খুব ভালোবাসেন। কিন্তু এই আচার রআকা নিয়েও বাস্তুশাস্ত্রে একাধিক নিয়মের কথা বলা হয়েছে। আগেকার দিনে আচার বড় বড় বয়ামে ভরে রাখা হত। কিন্তু এখন কাঁচ বা প্লাস্টিকের বয়ামে রাখা হয় আচার। যদিও আচার কাঁচের বয়ামে রাখা শুদ্ধ বলেই মনে করা হয় বাস্তুশাস্ত্রে। প্লাস্টিককে অশুদ্ধ ও অপবিত্র বলে মনে করা হয়। তাই আচার তৈরি করলে তা বাস্তু অনুযায়ী কাঁচের বয়ামেই রাখবেন। আসলে আচারকে টকের প্রতীক হিসাবে মানা হয়ে থাকে।
আচারকে বাস্তু অনুযায়ী সঠিক দিশাতেও রাখা দরকার। নয়তো পরিবারে অশান্তি দেখা দিতে পারে। আচার ভুল দিকে রাখা হলে পারিবারিক সম্পর্কের ওপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। বাড়ির সদস্যদের মধ্যে ঝগড়া-অশান্তি হতে পারে এবং সম্পর্কে ছেদ পড়তে পারে। তাই বাড়িতে আচারের বয়াম উত্তর-পশ্চিম দিকে রাখা উচিত।
আসলে উত্তর দিশাকে বুধের দিশা বলে মনে করা হয়। অপরদিকে, পশ্চিম দিশাকে শনি গ্রহের বলে মানা হয়ে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে উত্তর-পশ্চিম দিকে শনি ও বুধ উভয়েরই মিশ্র প্রভাব ধরা হয়। এদিকে আচার রাখলে পরিবারে কখনো কোনও ঝামেলার সৃষ্টি হয় না এবং পারিবারিক শান্তিও বজায় থাকে।