সূর্যে তাণ্ডব চলছে। শুনতে একটু ধাক্কা লাগতেই পারে, কিন্তু বাস্তব এটাই। আক্ষরিক অর্থেই প্রলয় (Coronal mass ejection) চলছে সূর্যে। যা বর্তমানে ভয়াবহ আকার নিয়েছে।
এই মুহূর্তে সোলার সাইকেলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে প্রলয়কাণ্ড। মাত্র ২ সপ্তাহের মধ্যে ১৪টি সৌরগহ্বর, ৬টি বিস্ফোরণ ঘটেছে। এর মধ্যে কয়েকটি তো একেবারে সরাসরি পৃথিবীকে হিট করেছে। কিছু বাইরে।
Coronal mass ejection আসলে কী? করোনাল মাস ইজেকশন হল সূর্যে বড় আকারের বিস্ফোরণ যার প্রভাব মহাকাশে সুদূর প্রসারী হয়।করোনাল মাস ইজেকশন বা ভর নির্গমন প্রায়ই একটি তারার শিখা বা হঠাৎ ঘটা কোনও উজ্জ্বল বিকিরণ।
একটি করোনাল ভর নির্গমন সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে সবচেয়ে বড় অগ্ন্যুৎপাতগুলির মধ্যে একটি, যা মহাকাশে প্রতি ঘণ্টায় কয়েক মিলিয়ন মাইল বেগে এক বিলিয়ন টন পদার্থ ধারণ করতে পারে।
এই সৌর উপাদানটি আন্তঃগ্রহের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়। এর পথে যে কোনও গ্রহ বা মহাকাশযানকে ব্যাপক ভাবে প্রভাবিত করে।
একই ভাবে সৌরগহ্বর তৈরিও অগ্নুত্পাত। আসলে বাকি অংশের তুলনায় ওই অংশটি ঠান্ডা হয়, তাই বাইরে থেকে কালো লাগে। NASA জানাচ্ছে, সোলার সাইকেল ১১ বছরের একটি প্রক্রিয়া।
১১ বছর পর সূর্যে বিস্ফোরণ, সৌর গহ্বর তৈরির মতো নানা কাণ্ড ঘটতে থাকে। কয়েক সপ্তাহ এই প্রলয় চলার পর শান্ত হয় ধীরে ধীরে। এবারের পর্যায়ে এখনও সর্বোচ্চ পরিস্থিতিতে পৌঁছয়নি।
NASA একটি ব্লগে জানিয়েছে, সূর্যের এই তাণ্ডব আরও বাড়বে, ২০২৫ সালে সবচেয়ে বেশি দেখা যাবে। যার প্রভাব পড়বে প্রাণী জগত্, স্যাটেলাইট ও মহাকাশচারীদের উপরে।
NASA জানাচ্ছে, সূর্যে প্রলয় যত বাড়বে বেশি বেশি অগ্ন্যুত্পাত ও সৌর গহ্বর তৈরি হবে। মহাকাশ বেসড প্রযুক্তির উপরে যেহেতু মানব সভ্যতা বেশি করে নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে, ফলে বড় প্রভাব পড়তে পারে সেই সব প্রযুক্তিতে। এমনকী আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনও বাদ যাবে না।