Advertisement

স্পেশাল

১৮ বছর ধরে হাতে স্টিয়ারিং, ট্রাকেই সংসার ভোপালের যোগিতা রঘুবংশীর

জয়দীপ বাগ
  • শিলিগুড়ি,
  • 07 Dec 2021,
  • Updated 11:20 PM IST
  • 1/9

বাণিজ্য ও আইন নিয়ে পড়াশুনো করার সময় পরিচয়। সেই থেকেই বিয়ে হয়েছিল ভোপালের আইনজীবী রাজবাহাদুর রঘুবংশীর সঙ্গে। কপালের ফেরে তিনি এখন ট্রাকচালক। কাঁধে সংসারের জোয়াল।

  • 2/9

সুখের সংসার ভেঙে যায়, যখন এক মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান স্বামী। তারপর থেকে সংসারের দায়িত্ব এসেছে স্ত্রীর কাঁধে। সেই থেকে দীর্ঘ ১৮ বছর থেকে ট্রাক চালিয়ে সংসার চালাচ্ছেন যোগিতা রঘুবংশী।

  • 3/9

পুরুষতান্ত্রিক সমাজের কটুক্তি ও ভয়কে দূরে রেখে রাত দিন এককরে গোটা দেশে বিভিন্ন প্রান্তে পণ্য নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন তিনি। আগামী ১৯ ডিসেম্বর উত্তরাখন্ড সরকার তাকে ইয়ুথ আইকন অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত করেছেন। বর্তমানে তিনি দেশের মহিলাদের  অনুপ্রেরণা।

  • 4/9

বাংলায় প্রবাদ আছে যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। তবে যোগিতার কাছে প্রবাদটা একটু আলাদা। তার কাছে, যে রাঁধে সে স্টিয়ারিংও ধরে। প্রবাদকে সঙ্গী করে জীবনের কঠিন যুদ্ধে একাই লড়াই করে চলেছেন। লক্ষ্য? লক্ষ্য এখন হারিয়ে গিয়েছে। এখন শুধু বেঁচে থাকার সংগ্রাম।

 

  • 5/9

বিয়ের পরই সুখী সংসারের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাদের দুই সন্তান হয়। কিন্তু ২০০৩ সালে এক মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় যোগিতার স্বামী। তারপর থেকে সংসারের এক ছেলে ও মেয়ের দায়িত্ব এসে পড়ে তার কাঁধে। শুরু হয় নিরুদ্দেশ যাত্রা। 

  • 6/9

নিজেই জানালেন, তাঁর স্বামীর ওকালতির পাশাপাশি ট্রাকের ব্যবসা ছিল। কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর পর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা সেই গাড়ির মালিকানা দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে সংসার চালানোর জন্য যোগিতাও আদালতের দ্বারস্থ হন। এরপরই আদালত তার স্বামীর ট্রাকের ব্যবসা যোগিতাকে পরিচালনা করার নির্দেশ দেয়।

  • 7/9

সেই থেকে শুরু হল স্টিয়ারিংয়ে বসে নতুন জীবন যাপনের নতুন লড়াই। জানা গিয়েছে, প্রথম দিকে গৃহবধূ হয়ে ট্রাকের স্টিয়ারিং ধরতে অস্বস্তি বোধ হচ্ছিল। পরে অবশ্য গাড়ি চালানো শিখে নেওয়ার পর সেই ভয়-ভীতি কেটে গিয়েছিল। প্রায় দু মাস সময় লেগেছে সম্পূর্ণ ভাবে ট্রাক চালানো শিখতে। এখন তিনি পুরোদস্তুর চালিকা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পুরুষ চালকদের মতোই পণ্য বোঝাই ট্রাক নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন।

  • 8/9

ফলে অনেক সময় মাস পেরিয়ে গেলেও বাড়ি ফেরা হয় না। একইভাবে গত মাসে ভোপাল থেকে সেনাবাহিনীর পণ্য বোঝাই করে নাগাল্যান্ডে এসেছিলেন যোগিতা। সেখানে গাড়ি খালি করে ফের গুয়াহাটি থেকে সিমেন্ট বোঝাই করে শিলিগুড়িতে এসেছেন। তবে যাত্রা পথ অনেকটা হওয়ায় তার সাথে ছিলেন সহকারী চালক সুনীল পাওয়ার। জানা গিয়েছে শিলিগুড়ি থেকে পরবর্তীতে যেখানকার ভাড়া পাবে সেখানে গাড়ি নিয়ে রওনা দেবেন তিনি। 

  • 9/9

যোগিতার গাড়ি চালানো দেখে ২০১৩ সালে দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এক নামী গাড়ি কোম্পানি তাকে এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড হিসেবে এই ট্রাকটি তুলে দেয়। বর্তমানে তার দুটি গাড়ি রয়েছে। একটি তিনি নিজে চালান ও অন্যটির চালক রয়েছে। এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর বেসরকারি সংস্থায় কাজ পেয়েছিলাম। কিন্তু তাতে সংসার চালানো বড় দায় হয়ে পড়ে। তাই স্বামীর ট্রাকের ব্যবসাকেই আঁকড়ে ধরতে হয়। তবে কাজ কঠিন হলেও যা আয় হয় তাতে ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে সুখে দিন কাটছে। অন্যদিকে তিনি দেশের মহিলাদের বলেন ইচ্ছাশক্তি থাকলে সবকিছুই করা সম্ভব। 

Advertisement
Advertisement