MA English Chaiwali: একদিকে শুরু। আর অন্যদিকে শেষ। একটা খবর অনেকের মন ভাল করে দেবে। আর একটা খবর অনেকের মনে দুঃখ বয়ে আনবে, সন্দেহ নেই।
হাবড়া স্টেশনের এক চা-বিক্রেতার কথা দিন কয়েক আগে সবাই জেনে গিয়েছিল। আর হইহই লেগে যায়।
অনেকের কাছে তিনি আদর্শ হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর নাম টুকটুকি দাস। হাবড়া রেল স্টেশনে তাঁর একটা চায়ের দোকান রয়েছে। সেই দোকানের নামও চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল বললে ভুল বলা হবে না। দোকান বা দোকানির নাম 'এম এ ইংলিশ চাওয়ালি' (MA English Chaiwali)।
তবে সেই চায়ের দোকানের আড্ডা থামতে চলেছে। দিন কয়েকের মধ্যে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। নয়া আড্ডা হবে কলকাতায়। এমনই পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।
শুক্রবার তিনি জানান, হাবড়ার দোকান বন্ধ হতে চলেছে। আর কলকাতায় তিনি দোকান খুলতে চলেছেন। ফেসবুকেও সে কথা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। হাবড়ার দোকান বন্ধ হলে যে অনেকেরই খারাপ লাগতে পারে, সে কথা বিলক্ষণ জানেন তিনি। ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ঝাঁপ বন্ধ হয়ে যাবে হাবড়ায় এমএ ইংলিশ চাওয়ালি (MA English Chaiwali)-র দোকান।
একের পর এক সংবাদমাধ্যমে ও সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল তাঁর কথা। তারপর তা যেন ভাইরাল হয়ে যায় হাবড়া স্টেশনের এমএ ইংলিশ চাওয়ালি (MA English Chaiwali)-র খবর।
বছর ছাব্বিশের তরুণী টুকটুকি দাসের কথা সবাই জেনে যান। অনেকে তুমুল প্রশংসা করেন তাঁর এই উদ্যোগে।
লেখপড়ার পর সরকারি বা অন্য কোনও চাকরির ওপর ভরসা না করে ওই তরুণী নেমে পড়েন চায়ের দোকান চালাতে। নিজের পায়ে দাঁড়াতে, ব্যবসায়ী মনোভাব থেকে নিজেকে সরাতে এখনও নারাজ।
কয়েক জায়গা থেকে অস্থায়ী কাজের জন্যও টুকটুকি (MA English Chaiwali)-কে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে সেদিকে মন না দিয়ে দোকান করাই লক্ষ্যেই অটল থেকেছেন তিনি।
ওই এলাকার বিধায়ক তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (WB Forest Minister Jyotipriya Mallick) 'এম ইংলিশ চাওয়ালি (MA English Chaiwali)-কে সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছিলেন।