Old Peanut Seller And Spoken English Tips: ইংরেজিতে কথা বলার ক্ষেত্রে অনেকেরই খুব জড়তা কাজ করে। এই জড়তাই তাদের জীবনে নানা ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে অনেকেই যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কাজ পান না ইংরেজিতে কথা বলতে পারেন না বলে।
এই ইংরেজির ভীতি কাটাতে অনেকেই মোটা টাকা খরচ করে বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে ভর্তি হন। আজকাল অনেকেই এর জন্য অনলাইন কোর্সও করছেন। মোটা মোটা বইও রয়েছে সহজে ‘স্পোকেন ইংলিশ’ শেখানোর জন্য। সেগুলির দামও নেহাত কম নয়। তবে মাত্র ৫-১০ টাকা খরচ করে ভাজা ছোলা বা বাদামের প্যাকেট কিনেও এই ‘অসাধ্য সাধন’ করে গড়গড় করে ইংরেজি বলতে পারবেন আপনি। নিজেকে তার জন্য মাত্র ছ’মাস সময় দিতে হবে। তার জন্য প্রতিদিন মাত্র ১৫-২০ মিনিট সময় বের করতে পারলেই চলবে। শুধু হাতের কাছে রাখতে হবে মাত্র দুই পাতার একটা সরল ইংরেজি সাজেশন, যা আপনি পাবেন হাতিবাগানে এক বৃদ্ধের কাছ থেকে ৫-১০ টাকার ভাজা ছোলা বা বাদামের প্যাকেট কিনলেই!
গড়গড় করে ইংরেজি বলা শিখতে যাঁরা হাজার হাজার টাকা খরচ করবেন ভাবছেন, তাঁদের প্রায় ‘বিনামূল্যে’ বাদাম বিক্রির অছিলায় সহজে ‘স্পোকেন ইংলিশ’ শেখাচ্ছেন ৭৫ বছরের বৃদ্ধ ‘বাদামওয়ালা’ অলোক কুমার দালাল। নড়বড়ে শরীরে বাড়ির সদস্যদের আপত্তি সত্ত্বেও নিউ ব্যারাকপুর থেকে এসে পৌঁছান হাতিবাগানের জনবহুল এলাকায়। সেখানে যাঁরা তাঁর থেকে ছোলা-বাদাম কেনেন, তাঁদের বিনামূল্যে দু’পাতার সরল ইংরেজি সাজেশন ধরিয়ে দেন অলোকবাবু।
কেন এই বয়সে বাদাম বেচছেন, টাকার প্রয়োজন? হাসিমুখে অলোকবাবু বলেন, “এই ভাজা ছোলা বা বাদামের প্যাকেট বেচে যে টাকা পাওয়া যায়, তা দিয়েই এই সাজেশান পেপার প্রিন্ট করাই। অনেকেই এখনও ইংরেজি বলতে ভয় পান। তাঁরা এই সাজেশান পেলে উপকৃত হবেন। মাত্র ছ’মাসেই ইংরেজি বলতে পারবেন, ভয় কেটে যাবে, আত্মবিশ্বাস বাড়বে।”
নিউ ব্যারাকপুরের বাসিন্দা অলোকবাবু একটা সময় দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে প্রাইভেট টিউশানি করেছেন। হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীকে ইংরেজি শিখিয়েছেন তিনি। এখন তাঁর বয়স হয়েছে। বয়সের ভারে শরীর এখন নড়বড়ে। কানে কম শোনেন, একটু কথা বললেই হাঁফিয়ে যান। চলেন লাঠিতে ভর করে। তবু এখনও তিনি মানুষকে ইংরেজি শিখিয়ে চলেছেন। হাতিবাগানে কাঁপা কাঁপা শীর্ণ হাতে ছোলা-বাদামের প্যাকেট বেচা বৃদ্ধ কোনও ‘বাদামওয়ালা’ নয়, তিনি যে আসলে শিক্ষক। আর শিক্ষক অবসর নেন খাতায় কলমে, শিক্ষকতা চালিয়ে যান আমরণ!