Lightning Strike: বর্ষাকাল আসা মানেই দেশজুড়ে বজ্রপাতে শ’খানেক মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে বজ্রাপাতে প্রতি বছর যত জনের মৃত্যু হয় তার ৪ শতাংশ ঘটে শহরাঞ্চলে, বাকি ৯৬ শতাংশ মৃত্যুই হয় দেশের গ্রামাঞ্চলে। আধুনিক প্রযুক্তিগত সহায়তা, আবহাওয়া দফতরের আগাম সতর্কতা সত্ত্বেও ফি বছর শ’য়ে শ’য়ে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে বজ্রপাতে।
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিকাল মেটেওরোলোজির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতে সবচেয়ে বেশি বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে ওড়িশায়। প্রতি বছর ওই রাজ্যে প্রায় ১১ লক্ষ ২০ হাজার বার বজ্রপাত হয়। যদিও ওই রাজ্যে বছরে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় ১৫০-২০০ জনের।
বিগত ৪-৫ বছরে দেশে বজ্রপাতের ঘটনা ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯-২০২০ সালে যেখানে ১,৩৮,০০,০০০ বার বজ্রপাতের ঘটনা ঘটেছিল সেখানে ২০২০-২০২১ সালে ১৮৫,৪৪,৩৬৭ বার বজ্রপাত হয়েছে। বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, ছত্তিশগড়, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ডে বজ্রপাতে সর্বাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
বজ্রপাতে মৃত্যুর তালিকার শীর্ষে রয়েছে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ। এই তিন রাজ্যে বজ্রপাতের কারণে ৫৩ শতাংশেরও বেশি মৃত্যু হয়েছে। বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যার নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ অনেকটাই পিছনে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সরাসরি বজ্রপাতের চেয়ে পার্শ্বীয় বজ্রপাতের (৫০ শতাংশের বেশি) কারণে প্রাণহানী বেশি হয়।
বজ্রপাতের তিনটি রূপ
বজ্রপাত বা বাজ পড়া হল মেঘ, বাতাসের মধ্যে তৈরি হওয়া বায়ুমণ্ডলে বিদ্যুতের একটি বিশাল স্ফুলিঙ্গ যা ব্যাপকতায় ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়েছে। ব্যাপকভাবে, বজ্রপাতের তিনটি রূপ রয়েছে:
* ইন্টার-ক্লাউড
* ইন্ট্রা-ক্লাউড
* ক্লাউড-টু-গ্রাউন্ড
বজ্রপাতে কত ভোল্টের বিদ্যুৎ থাকে জানেন?
একটি সাধারণ বজ্রপাতে প্রায় ৩০ কোটি ভোল্ট এবং প্রায় ৩০,০০০ amps এর বিদ্যুত থাকে। আমাদের গৃহস্থালীর ব্যবহারের জন্য ১২০ ভোল্ট এবং ১৫ amps-এর কারেন্ট প্রয়োজন হয়। একটি ১০০-ওয়াটের বাল্ব প্রায় টানা তিন মাস জ্বালানোর জন্য একটি বজ্রপাতে থাকা বিদ্যুতই যথেষ্ট!