বলে যে ভালোবাসায় ব্যক্তি যে কোন সীমা অতিক্রম করতে পারে। যে কোনও বাধা বিপত্তি এড়িয়ে যেতে পারে। কিন্তু কখনও কখনও এ সমস্ত কিছু শুধুমাত্র খাতায়-কলমে সীমাবদ্ধ থাকে না, বাস্তবেও দেখা যায়। এমনই একটি ঘটনা সামনে এসেছে গ্রেটার নয়ডাতে। পাবজি খেলতে খেলতে এক পাকিস্তানি মহিলা, ভারতীয় যুবকের প্রেমে পড়ে। ওই যুবকের টানে নয়ডা পৌঁছে যান মহিলা। খবর পেয়ে পুলিশ মহিলা ও যুবক দুজনকেই খবর পেয়ে ধরে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
মহিলা নেপাল দিয়ে ভারতে ঢুকেছে
বলা হচ্ছে যে মহিলা নেপালের রাস্তা দিয়ে ভারতে এসেছে। এরপর তিনি রবুপুরা পৌঁছে গেছে। মহিলার সঙ্গে যুবক রবুপুরাতে ভাড়া বাড়িতে থাকছিল। যখন পুলিশ বিষয়টি জানতে পারে তখন এই যুবক ও মহিলাকে নিয়ে সন্তানদের সঙ্গে পালিয়ে যায়। পুলিশ তদন্ত শুরু করে মহিলাকে খুঁজে বের করে এবং জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।
এ নিয়ে বাড়ির মালিক জানান যে, মে মাস থেকে স্থানীয় সচিন ও ওই মহিলা ৪ সন্তান নিয়ে থাকছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে ভাড়া ঘর নিতে চান। তাঁদের কোর্ট ম্যারেজ হয়েছে এবং চার সন্তান রয়েছে। কাছাকাছি এলাকারই বাসিন্দা হওয়ার কারণে তাকে ভাড়ায় আমি বাড়ি দিয়ে দিয়ে দিই।
স্যুট সালোয়ার এবং শাড়ি পড়তেন মহিলা
বাড়িওয়ালা বলেন, 'আমাদের কখনও মনে হয়নি যে তাঁর সঙ্গে থাকা মহিলা পাকিস্তানি। তিনি সুট, সালোয়ার এবং শাড়ি পড়তেন। যখন তাঁরা ১ তারিখে চলে যান, তারপর পুলিশ আসে। এরপরে আমরা জানতে পারি যে মহিলা পাকিস্তান থেকে অবৈধভাবে ভারতে এসেছে।
বিস্তারিত তদন্ত শুরু হয়েছে
গ্রেটার নয়ডার এডিসিপি অশোক কুমার জানিয়েছেন যে থানার পুলিশের কাছে খবর আসে যে রবুপুরাতে এক পাকিস্তানি মহিলা ৪ বাচ্চার সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে এরপরে পুলিশ টিম গঠন করে। এরপরে লোকাল ইন্টেলিজেন্স, ইলেকট্রনিক্স এবং পুলিশিং এর সাহায্যে থানা রাবুপুরা পুলিশ মহিলাকে ট্রেস করে নেয়। তারপরই তাদের খোঁজ পায় পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার নাম সীমা গুলাম হায়দার যিনি pubg মাধ্যমে নয়ডার নেত্রপালের যুবক সচিনের প্রেমে পড়েন। এরপর তিনি যুবকের সঙ্গে একসঙ্গে থাকার জন্য নেপাল হয়ে ভারতে পৌঁছন। এ বিষয়টি বিস্তারিত খোঁজ খবর করা হচ্ছে।