হাতি নেই বহুকাল। তবে হাতি পোষার ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে রয়ে গিয়েছে হাতিকে জল খাওয়ানোর কড়াই। আকার দেখলে মালুম হবে, কড়াইটি হাতির যোগ্যই বটে। লোহার এই কড়াইটির চওড়ায় ২০ ফিট, ব্যাসে ৭ ফিট। ওজন প্রায় ১ টন। এত বড় লোহার কড়াই, রক্ষা করতে শিকলে বেঁধে তালা মেরে রাখা হয়েছে কড়াইটিকে। কড়াইয়ের মালিকপক্ষের দাবি, কড়াইটি তাঁদের পূর্বপুরুষদের ২০০ বছরের ঐতিহ্য। বাড়িতে পোষা জোড়া হাতিকে জল খাওয়ানোর জন্য এটি অবিভক্ত ভারতের শিলিগুড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি কড়াইটি প্রত্নতত্ত্ব দপ্তরের নিদর্শনের স্বীকৃতিও পেয়েছে। এই কড়াই নিয়েই এখন হইচই বাংলাদেশজুড়ে। দেড়’শ-থেকে দুশো বছরের পুরোনো লোহার ওই ‘কড়াই’টি রয়েছে বাংলাদেশের নীলফামারি জেলার জলঢাকায়। সে সময়ে হাতিকে জল খাওয়ানোর জন্য কেনা এই কড়াই এখন দর্শনীয় বস্তুতে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই ভিড় করছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ।