দিল্লি ক্যাপিটালস এবং কলকাতা নাইট রাইডার্সের মধ্যে আইপিএল নম্বর ম্যাচে অনেকগুলি বিশাল রেকর্ড তৈরি হয়েছিল। একই সঙ্গে ভাঙা থেকে রক্ষা পেল একটি 'বড় রেকর্ড'। এই ম্যাচে কলকাতার সুনীল নারাইন, আংক্রিশ রঘুবংশী এবং আন্দ্রে রাসেল ব্যাট হাতে দিল্লিকে শ্বাসরুদ্ধ করে দেন। ভাইজাগের ওয়াই এস রাজশেখর রেড্ডি এসিএ-ভিডিসিএ ক্রিকেট স্টেডিয়াম অনুষ্ঠিত ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) দিল্লি ক্যাপিটালসকে (ডিসি) ১০৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে। শ্রেয়স আইয়ারের নেতৃত্বে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর), ঋষভ পান্তের নেতৃত্বে দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যে ম্যাচটিতে রেকর্ডের একটি সিরিজ তৈরি হয়েছে। এই আইপিএল ম্যাচে অনেক অসাধারণ পরিসংখ্যানও সামনে এসেছে।
যেমন প্রথমবার, কেকেআর আইপিএল মরশুমে তাদের প্রথম তিনটি ম্যাচ জিতেছে। দিল্লি ক্যাপিটালস ভাইজাগে খেলা সাতটি আইপিএল ম্যাচের মধ্যে চারটিতে হেরেছে। আরেকটি রেকর্ড হল ২০২২ সাল থেকে চারটি ম্যাচে দিল্লির বিরুদ্ধে KKR-এর এটি প্রথম জয়।
এই ম্যাচে কলকাতা দল মাত্র রানের জন্য আইপিএলে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়তে পারেনি। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ২৭৭ রান করেছিল। যেখানে কলকাতা গতকাল (৩ এপ্রিল) দিল্লির বিপক্ষে ২৭২/৭ রান করেছিল। এর আগে, কলকাতা নাইট রাইডার্সের আগের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ২০১৮ সালে ইন্দোরে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের (বর্তমানে পাঞ্জাব কিংস) বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে ২৪৫ রান, যেখানে ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে আগের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ২২৩/৩, যেটা করেছিল চেন্নাই সুপার কিংস।
কেকেআর বনাম ডিসির মধ্যকার এই ম্যাচে কী কী রেকর্ড
রঘুবংশী এই রেকর্ডটি করেন। আংক্রিশ রঘুবংশী ১৮ বছর ৩০৩ দিন বয়সে আইপিএলে অভিষেক করেন। তিনি তাঁর প্রথম আইপিএল ইনিংসে পঞ্চাশের বেশি রান করা সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়। এর আগে এই রেকর্ডটি শ্রীবৎস গোস্বামীর নামে ছিল। যিনি ১৯ বছর বয়সের একদিন পর ২০০৮ সালে তার আইপিএল অভিষেক ম্যাচে ৫২ রান করেছিলেন। রঘুবংশী হলেন IPL-এ হাফ সেঞ্চুরি করা সামগ্রিকভাবে সপ্তম সর্বকনিষ্ঠ ব্যাটসম্যান। অনূর্ধ্ব-১৯-এ টিম ইন্ডিয়ার হয়ে খেলা রঘুবংশী ২৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন। এর আগে ২০০৮ সালে তাঁর প্রথম ম্যাচে জেমস হোপস ২৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন। এদিক দিয়ে অভিষেক আইপিএল ম্যাচে এটি দ্বিতীয় দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি।
পাওয়ার প্লের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর ছিল
৩ এপ্রিল দিল্লির বিরুদ্ধে পাওয়ার প্লেতে কেকেআরের ৮৮ রান তুলেছিল। যেটি আইপিএলে তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। ২০১৭ সালে কলকাতা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে ১০৫ রান করেছিল, এই রেকর্ডটি এখনও রয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও দল পাওয়ার প্লেতে এর চেয়ে বেশি রান করতে পারেনি। দিল্লির বিরুদ্ধে পাওয়ারপ্লেতে করা ৮৮ রান সর্বোচ্চ স্কোর, সেইসঙ্গে আইপিএল ২০২৪-এ যে কোনও দলের সর্বোচ্চ স্কোর।
সর্বোচ্চ রান করেন নারাইন
দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে সুনীল নারাইনের ৮৫ রান তাঁর ৫০১টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সর্বোচ্চ স্কোর। নারিাইনের আগের সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি স্কোর ছিল ৭৯ রান। ২০১৭ সালে বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসের বিপক্ষে তিনি এই রান করেছিলেন।
আইপিএল ২০২৪-এ দিল্লির হয়ে ৫০ এর বেশি স্কোর
২৪ ডেভিড ওয়ার্নার
১৮ ঋষভ পন্ত
১৮ শিখর ধাওয়ান
১৬ শ্রেয়স আইয়ার
১৬ বীরেন্দ্র শেওয়াগ
১৩ পৃথ্বী শ
আইপিএলে দলের সর্বোচ্চ স্কোর
২৭৭/৩ -সানরাইজার্স হায়দরাবাদ বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
২৭২/৭ - কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম দিল্লি ক্যাপিটালস
২৬৩/৫ - রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর বনাম পুনে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়ান্স
২৫৭/৫ - লখনউ সুপার জায়ান্টস বনাম পাঞ্জাব কিংস
২৪৮/৩ - রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর বনাম গুজরাট লায়ন্স
আইপিএলে কেকেআরের হয়ে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কা
১৮ বনাম দিল্লি ক্যাপিটালস
১৭ বনাম চেন্নাই সুপার কিংস
১৭ বনাম পাঞ্জাব কিংস