বিরাট কোহলির সঙ্গে গৌতম গম্ভীরের সম্পর্ক বারবার শিরোনামে এসেছে। একাধিকবার দুজনের মধ্যে উত্যক্ত বাক্য বিনিময়ও হয়েছে। সেই সব ভিডিও এখনও ভাইরাল হয়। তবে এখন সেই বিরাট কোহলিই খেলবেন গম্ভীরের কোচিংয়ে। তাহলে কি দুজনের সম্পর্কের বরফ গলেছে? তা নিয়ে সরাসরি কিছু না বললেও ইঙ্গিত দিলেন গম্ভীর। কটাক্ষের সুরেই জানালেন তাঁর সঙ্গে বিরাটের সম্পর্ক নিয়ে যে কথা হয় তা টিআরপি-র পক্ষে ভালো।
কোহলিকে বিশ্বমানের ক্রিকেটার উল্লেখ করে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে গৌতম গম্ভীর জানান, কোহলির সঙ্গে তাঁর যে সম্পর্ক তা পেশাদারিত্বের। গম্ভীরের কথায়, 'কোহলি একজন বিশ্বমানের ব্যাটার। খেলোয়াড়। ২০০৭ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০১১-র ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের হিরো। ভারতীয় ক্রিকেটকে কীভাবে আরও উন্নত করা যায় তা নিয়ে কোহলির সঙ্গে হাত হাত মিলিয়ে কাজ করতে চাই।'
দুজনের সম্পর্ক নিয়ে যে এত কথা, লেখালেখি হয় সেই প্রসঙ্গে গম্ভীর বলেন, 'কোনও কোনও সময় তো কোহলির সঙ্গে আমার অনেক কথা হয়। আমরা মেসেজও করি। আমার কোনও ঘোষণার পরে বা আগে কথা হয়েছে এমনটা নয়। খুব স্বত:স্ফূর্তভাবেই কথা হয়। আমাদের দুজনকে নিয়ে লোকে হেডলাইন চায়। সেই কারণে হয়তো এত কথা হয়। এবার আমার ভূমিকা কোচের। আমার কাজই হল দলকে একসঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলা। একশো কোটিরও বেশি মানুষ আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকবেন।'
আইপিএল খেলার সুবাদে গম্ভীর ও কোহলি একাধিকবার বাকবিতণ্ডায় জড়ালেও তাঁরা দুজনেই ব্যাট হাতে একাধিকবার টিম ইন্ডিয়াকে জিতিয়েছেন। ২০০৯ সালে তো নিজের ম্যান অফ দা ম্যাচও কোহলির হাতে তুলে দিয়েছিলেন গম্ভীর। সেবার ইডেনে সেঞ্চুরি করেছিলেন কোহলি।
২০২৭ সালের এক দিনের বিশ্বকাপেও গম্ভীর দেখতে পাচ্ছেন রোহিত ও রোহলিকে। গম্ভীর বলেন, 'বিরাট ও রোহিত দেখিয়েছে যে, ওরা কী করতে পারে। ওদের মধ্যে এখনও অনেক ক্রিকেট বাকি। সামনেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ২০২৭ সালের বিশ্বকাপেও ওরা খেলতে পারে। যে কোনও দল যে কোনও সময় এমন দু’জন ক্রিকেটারকে নিজেদের দলে চাইবে।'
গম্ভীরের আরও সংযোজন, 'কার মধ্যে কতটা ক্রিকেট বাকি আছে সেটা তারা নিজেরাই ভালো বুঝতে পারবে। তবে দিনেরপ শেষে পারফরম্যান্স কেমন হল, সেটাই আসল কথা। দলের সাফল্যে কতটা অবদান রাখতে পারে কেউ, সেটাই দেখার। শেষ পর্যন্ত, দলই গুরুত্বপূর্ণ। বিরাট ও রোহিত কী দিতে পারে, তা দেখে বোঝা যাচ্ছে। ওঁদের মধ্যে প্রচুর ক্রিকেট বাকি রয়েছে। দুজনেই এখনও বিশ্বমানের।'