ঘরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩-০ হার। ক্লিন সুইপের ধাক্কায় এখন অনেকেই গৌতম গম্ভীরের কোচিং নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। ২০২৪-এর T20 বিশ্বকাপের পর কোচ হিসাবে রাহুল দ্রাবিড়ের জায়গায় আসেন গম্ভীর। তাঁকে নিয়ে সবার প্রত্যাশাও ছিল অনেকটাই বেশি। কিন্তু নিউজিল্যান্ড টেস্ট সিরিজে এমন বিপর্যয়ের পর অনেকেই তাঁর কোচিং নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।
৩ টেস্ট শেষে এক সাংবাদিক সম্মেলনেও গৌতম গম্ভীরের কোচিং স্টাইল নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। সেখানে রোহিত শর্মা গম্ভীরকে সাপোর্ট করেই উত্তর দেন।
নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে তৃতীয় টেস্ট ম্যাচটা হয়েছিল মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। ম্যাচ জেতার জন্য টিম ইন্ডিয়ার ১৪৭ রানের টার্গেট ছিল। এদিকে ব্যাট করতে নেমে জবাবে তৃতীয় দিনে(৩ নভেম্বর) ভারত মাত্র ১২১ রান করে। ২৫ রানে ম্যাচ হেরে যায়।
কোচিং নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রোহিত বলেন, গৌতম গম্ভীরের আসার পর থেকে মাত্র ৪-৫ মাস হয়েছে। এখনই কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়াটা খুব হঠকারিতা হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, 'কোচিং স্টাফ দুর্দান্ত। উনি এখনও বেশি সময় পাননি। এটা নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই যে আমরা ওনার ভাবনার সঙ্গে সহমত। এখনই কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়াটা খুব তাড়াহুড়ো হয়ে যাবে।'
ভারতীয় দলের কোচ হিসাবে গৌতম গম্ভীরের প্রথম সিরিজ ছিল শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। ২০২৪-এর জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়েছিল ভারত। সেখানে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ও ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ছিল। সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জেতে ভারত।
৪ মাসের ব্যবধানেই খারাপ অবস্থা
শ্রীলঙ্কায় টি-টোয়েন্টিতে জিতলেও ওয়ানডে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল ভারত।
এই বছর ভারতীয় দলের এটাই একমাত্র ওয়ানডে সিরিজ, যাতে তাদের হারতে হয়েছে। এরপরেই আবার ঘরের মাঠে ২ টেস্টে ও ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ছিল বাংলাদেশের সঙ্গে। সেখানে কিন্তু বাংলাদেশকে ক্লিন সুইপ করে ভারতীয় দল।
কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের হোম টেস্ট সিরিজেই ফের সমস্যা শুরু হয়। ওডিআই এবং টেস্টে অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন রোহিত শর্মা। দায়িত্বে আসার পর থেকে ৪ মাসে ৫টি সিরিজ খেলিয়েছেন কোচ গৌতম গম্ভীর। এই সময়ের মধ্যে গম্ভীর এবং রোহিত জুটি একসঙ্গে মাত্র ২টি সিরিজে ১০ বার হেরেছে।