ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও রবিবারের ম্যাচে নামার আগে ধাক্কা খেল ভারতীয় দল। এই ম্যাচেও হয়ত খেলতে পারবেন না ভারতীয় দলের তারকা অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে বল করার সময় নিজের বলেই ফিল্ডিং করতে গিয়ে চোট পান হার্দিক। সেই চোট এখনো সারেনি তাঁর।
চোট পাওয়ায় ধর্মশালায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে পারেননি হার্দিক পান্ডিয়া। এর পর খবর আসে যে লখনউতে খেলতে পারেন তিনি। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, হার্দিক পান্ডিয়ার চোট গুরুতর নয়, তবে তাঁর চোট নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে চায় না টিম ম্যানেজমেন্ট। বিসিসিআইয়ের একটি সূত্র একটি ওয়েবসাইটকে জানিয়েছে, তিনি পরের ম্যাচের বাইরে থাকতে পারেন। যদিও তাঁর চোট গুরুতর নয়। রিপোর্টে এটাও দাবি করা হয়েছে যে এখন হার্দিক পান্ডিয়াকে ১ নভেম্বর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলতে দেখা যাবে। টিম ইন্ডিয়া ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একই প্লেয়িং ১১ নিয়ে মাঠে নামতে পারে যা নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলেছিল। পান্ডিয়ার অনুপস্থিতিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্লেয়িং ইলেভেনে দুটি পরিবর্তন আনা হয়েছিল। দলে ছিলেন মহম্মদ শামি ও সূর্যকুমার যাদব।
বিশ্বকাপে ফ্লপ শার্দুল ঠাকুর। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে বসানো হয়েছিল। শার্দুল মাত্র ২ উইকেট নিয়েছেন এবং প্রচুর রান খেয়েছেন। তাঁর জায়গায় দলে যোগ দেন মহম্মদ শামি। দুর্দান্ত বল করে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বল করার পর লিটন দাসের স্ট্রেট ড্রাইভ পা দিয়ে ঠেকাতে যান হার্দিক। সেই সময়ই পায়ের চোট লাগে। মাঠের মধ্যেই বেশ কিছুটা সময় চিকিৎসা চলে তাঁর। মাঠের বাইরে নিয়ে যেতে হয়নি। অষ্টম ওভারের তৃতীয় বল করার সময় চোট পান। যদিও এরপর শেষ তিন বল করতে গিয়েও সমস্যায় পড়েন হার্দিক। শেষ তিন বল করতে হয় বিরাট কোহলিকে।
বিশ্বকাপের শুরুতেই শুভমন গিল ডেঙ্গি হওয়ায় দুই ম্যাচ খেলতে পারেননি। পরে যদিও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে খেলেন তিনি। এরপর চোট পেয়ে মাঠের বাইরে যেতে হয় ভারতের অন্যতম তারকা অলরাউন্ডারকে। এরপর ব্যাট করতেও নামতে পারেননি তিনি। তবে মনে করা হচ্ছে, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে খেলতে দেখা যেতে পারে।