'আমার পরিবার যদি সঙ্গে না থাকত, তাহলে ক্রিকেট ছেড়েই দিতাম। আমি ৩ বার আত্মহত্যা করার কথা ভেবেছিলাম। আমার ফ্ল্যাট ছিল ২৪ তলায়। আমার পরিবার ভয়ে থাকত, আমি ফ্ল্যাট থেকে ঝাঁপ না দিয়ে দিই।' কথাগুলি বলেছিলেন মহম্মদ শামি। জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়ের প্রসঙ্গে এই কথাগুলিই বলেছিলেন তিনি। কিন্তু সময়ের চাকা সর্বদা ঘুরছে। সময় যতই এগিয়েছে, জীবনের অন্য ইতিহাস লিখে গিয়েছেন বাংলার পেসার। আজ তামাম দুনিয়া দেখছে, 'এ ভাবেও ফিরে আসা যায়।'
বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে একাই ৭ উইকেট নিয়ে হিরোর নাম মহম্মদ শামি। একই সঙ্গে একদিনের ক্রিকেটে চতুর্থবার ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডের অধিকারীও। এমনকী বিশ্বকাপে ৫০ উইকেট নেওয়া একমাত্র বোলার।
তিনবার আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন
আজ যে উচ্চতায় শামি নিজেকে নিয়ে গিয়েছেন, সেই পথটা সুখের ছিল না। পদে পদে কাঁটা। বিবাহিত জীবনে চরম বিতর্ক। ফিটনেশ একেবারে তলানিতে চলে গিয়েছিল। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পরে যখন শামি চোট সারিয়ে কামব্যাকের চেষ্টা করছেন, তখন দাম্পত্য জীবন উথালপাতাল। কিন্তু ভাগ্যদেবতা চিত্রনাট্য অন্য লিখেছিলেন। জো জিতা, ওহি সিকান্দার।
ইনস্টাগ্রাম লাইভে সব খোলসা করেন
২০২০ সালে করোনার সময়ে ইনস্টাগ্রামে সুইসাইডের চেষ্টার কথা প্রথম স্বীকার করেন। বলেছিলেন, '২০১৫ সালে চোটের জন্য বাদ পড়েন দল থেকে। তারপর দল ফিরতে সময় লাগে ১৮ মাস। জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়। আপনারা জানেন, রিহ্যাব কতটা চাপের। তারপর পারিবারিক সমস্যা। এই সব যখন চলছে, তখনই আইপিএল-এর ১০-১২ দিন আগে আমার অ্যাক্সিডেন্ট হল। মিডিয়াতে অনেক কিছু চলছিল আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে।'
শামির কথায়, 'আমার মনে হয়, আমার পরিবার যদি পাশে না দাঁড়াতো, ক্রিকেটটাই ছেড়ে দিতাম। আমি তিনবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছি। আমার পরিবারের লোকেরা আমার উপর নজরদারি করত, আমি যাতে ফ্ল্যাট থেকে ঝাঁপ না দিয়ে দিই।'
জাহির খানের রেকর্ড ভাঙলেন শামি
একটি সিজনে কোনও ভারতীয় হিসেবে সর্বাধিক উইকেট নেওয়ার রেকর্ড ছিল জাহির খানের। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বুধবার সেই রেকর্ডও ভাঙলেন শামি। ৫৭ রান দিয়ে ৭ উইকেট একদিনের ক্রিকেট ইতিহাসে সেরা বোলিং স্পেল।