পাকিস্তান আদৌ বিশ্বকাপ খেলতে আসতে পারবে! আপাতত এমনই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এশিয়া কাপ ঘিরে ভারতীয় বোর্ডের সঙ্গে পাকিস্তানের দ্বন্দ্ব লেগেই ছিল। সে সময় থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া চলছিল, ভারতীয় দল এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তান না গেলে তারাও বিশ্বকাপের জন্য ভারতে আসবে না। যদিও সেই হুঁশিয়ারি ধোপে টেকেনি। এখন বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে নিজেদের দেশেই অনুমতির অপেক্ষায় পাকিস্তান। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের কাছে ছাড়পত্র চাইল সে দেশের ক্রিকেট বোর্ড।
কয়েক দিন আগেই প্রকাশিত হয়েছে ভারতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপের সূচি। ৫ অক্টোবর শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ। আমেদাবাদে হবে বহু প্রতীক্ষিত ভারত-পাকিস্তান মহারণ। এ ছাড়াও চেন্নাই, কলকাতার মতো ভেনুতে ম্যাচ রয়েছে পাকিস্তানের। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোর খবর অনুযায়ী, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং বিদেশমন্ত্রকের কাছে লিখিত ভাবে আবেদন করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
তারপরই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ভারতে ২০২৩ সালের ওডিআই বিশ্বকাপে তাঁদের জাতীয় ক্রিকেট দলের অংশগ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টোর নেতৃত্বে একটি উচ্চ-পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছেন।
কমিটি শরীফের কাছে সুপারিশ জমা দেওয়ার আগে পাকিস্তান ও ভারতের সম্পর্কের সমস্ত দিক, খেলাধুলা, খেলোয়াড়, কর্মকর্তা, ভক্ত এবং মিডিয়ার জন্য ভারতের পরিস্থিতি অনুসন্ধান ও আলোচনা করবে। প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের পৃষ্ঠপোষক-ইন-চিফও।
কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন ক্রীড়ামন্ত্রী আহসান মাজারি, মরিয়ম আওরঙ্গজেব, আসাদ মাহমুদ, আমিন উল হক, কামার জামান কায়রা এবং সাবেক কূটনীতিক তারিক ফাতমি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা ইতিমধ্যেই পিসিবিকে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, পাকিস্তানের ম্যাচগুলি নির্ধারিত স্থানগুলি পরিদর্শনের জন্য একটি উচ্চ-পর্যায়ের নিরাপত্তা প্রতিনিধি দল ভারতে পাঠানো হবে।
বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাকা আশরাফ এবং চিফ অপারেটিং অফিসার সালমান তাসিরও শনিবার রাতে ডারবানের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন আইসিসির বৈঠকে যোগ দিতে। আশা করা হচ্ছে যে, আশরাফ পাকিস্তানে তাঁর দল পাঠাতে ভারতের বারবার অস্বীকৃতি নিয়ে আলোচনা করবেন।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বহুল প্রতীক্ষিত বিশ্বকাপ খেলাটি ১৫ অক্টোবর আমেদাবাদের বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে। পাকিস্তান তাদের প্রথম দুটি বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডস এবং শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হওয়ার আগে হায়দ্রাবাদে তাদের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। চেন্নাই, বেঙ্গালুরু ও কলকাতায়ও দলটির খেলার কথা রয়েছে। ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই শুধুমাত্র এশিয়া কাপ বা আইসিসি ইভেন্টে একে অপরের সঙ্গে খেলে।