ভারতের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও হেরে বিপদে পড়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। শুরুতে ব্যাট করে ৩০০-র উপরে রান তুলে ফেলায় চাপ বেড়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার। ব্যাট করতে নেমেও ব্যর্থ হওয়ায়, ফের হারতে হল প্যাট কামিন্সদের।
লখনউতে ৩১১ রান করে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচেও একাধিক ক্যাচ পড়ল। যা দেখে অনেকেই মনে করছেন, এ কোন অস্ট্রেলিয়া দল ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে এসেছে? বারবার ক্যাচ মিস করার মাশুল দিতে হল এদিনও। ৩১২ রানের টার্গেট দিল প্রোটিয়ারা। এই ক্যাচগুলো ধরতে পারলে আরও কম রানে বেঁধে ফেলা যেত টেম্বা বাভুমাদের। যদিও ১০৬ বলে ১০৯ রানের দারুণ ইনিংস খেলে দলকে বড় রানের দিকে ভেগিয়ে নিয়ে যান কুইন্টন ডি কক। আটটা চার ও পাঁচটা ছক্কায় সাজানো তাঁর ইনিংস। পাশাপাশি ভাল ব্যাট করেন এডেন মার্করামও। ৪৪ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনিও। সাতটা চার ও একটা ছক্কা মারেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে সাতটি ক্যাচ ফেলেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা। যা ভাবাই যায় না। ডেভিড মিলারের পাশাপাশি মার্কো জ্যানস্যানের ক্যাচ ফেলে দেন স্টোয়নিশ ও মিশেল মার্শরা। দু'টি ক্যাচ ফেলেন স্টোয়নিশ। ফলে চিন্তা থাকছেই অস্ট্রেলিয়া দলকে নিয়ে। জ্যানস্যান আউট হন ২২ বলে ২৬ রান করে। ডেভিড মিলার যদিও ১৩ বলে ১৭ রান করেই ফেরেন।
মিশেল স্টার্ক ৯ ওভার বল করে ৫৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন। দারুণ বল করেছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ১০ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। দলের অন্য বোলারদের মধ্যে জস হ্যাজেলউড, প্যাট কামিন্স ও অ্যাডাম জ্যাম্পা একটি উইকেট তুলে নেন। তবে অস্ট্রেলিয়ার ফ্যানদের আক্ষেপ, ক্যাচগুলো ধরতে পারলে আরও আগেই শেষ হয়ে যেতে পারত দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।
অস্ট্রেলিয়ার মানার্স লাবুশেন ছাড়া কেউই রান পাননি। তিনি ৪৬ রান করেন। শেষে মিশেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্সও রান পাননি। ২২ রান করেন ক্যাপ্টেন কামিন্স। ২৭ রান করেন স্টার্ক । ১৭৭ রানেই শেষ হয়ে যায় অজিদের ইনিংস। ৮ ওভার বল করে ৩ উইকেট নেন কাগিসো রাবাডা। মার্কো জ্যানসন, কেসব মহারাজ ও তাবরেজ শামসি দুটি করে উইকেট নেন।