Advertisement

IND vs ENG, T20 World Cup 2024 Highlights: প্রথমে রোহিতদের ঝড়, তারপর বোলারদের ভেলকি, যেভাবে ব্রিটিশ বধ

T20 বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ভারত। ২৭ জুন (বৃহস্পতিবার) গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে সেমিফাইনাল ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৬৮ রানে হারিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। সেমিফাইনাল ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে জয়ের জন্য ১৭২ রানের টার্গেট ছিল, কিন্তু তাদের পুরো দল ১৬.৪ ওভারে ১০৩ রানে গুটিয়ে যায়। এবার ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে ভারত।

প্রথমে রোহিতদের ঝড়, তারপর বোলারদের ভেলকি, এভাবেই ব্রিটিশ বধ ভারতের
Aajtak Bangla
  • নতুন দিল্লি,
  • 28 Jun 2024,
  • अपडेटेड 8:44 AM IST
  • T20 বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ভারত
  • এবার ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে ভারত

T20 বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ভারত। ২৭ জুন (বৃহস্পতিবার) গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে সেমিফাইনাল ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৬৮ রানে হারিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। সেমিফাইনাল ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে জয়ের জন্য ১৭২ রানের টার্গেট ছিল, কিন্তু তাদের পুরো দল ১৬.৪ ওভারে ১০৩ রানে গুটিয়ে যায়। এবার ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে ভারত। জানিয়ে রাখি আফগানিস্তানকে ৯ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৯ জুন ব্রিজটাউনে (বার্বাডোজ) ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। তৃতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ভারতীয় দল। এর আগে ২০০৭ এবং ২০১৪ সালে ফাইনালে উঠেছিল। ২০০৭ সালে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে ভারতীয় দল। এখন ভারতের সামনে দ্বিতীয়বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা জেতার সুযোগ রয়েছে। ভারতীয় দল শিরোপা জিতলে ১১ বছরের খরাও শেষ হয়ে যাবে। ভারতীয় দল সর্বশেষ ২০১৩ সালে আইসিসি শিরোপা জিতেছিল। মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতে নেয়।

সেমিফাইনাল ম্যাচে লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ভারতীয় স্পিনারদের সামনে অসহায় হয়ে পড়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। চায়নাম্যান বোলার কুলদীপ যাদব এবং বাঁহাতি স্পিনার অক্সার প্যাটেলের দুর্দান্ত বোলিং ব্রিটিশদের স্তব্ধ করে দিয়েছে। ইংল্যান্ডের হয়ে কেবল হ্যারি ব্রুক (২৫ রান), জস বাটলার (২৩ রান), জফ্রা আর্চার (২১ রান) এবং লিয়াম লিভিংস্টোন (১১ রান) দুই অঙ্কে পৌঁছতে পারেন। ভারতের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন কুলদীপ যাদব ও অক্সার প্যাটেল। যেখানে জসপ্রিত বুমরা পেয়েছেন দুটি উইকেট। যেখানে ইংল্যান্ডের দুই খেলোয়াড় রান আউট হয়েছেন।

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সাত উইকেটে ১৭১ রান করে সূর্য-রোহিতরা। ম্যাচে ভারতীয় দলের শুরুটা ছিল বাজে। পাওয়ারপ্লেতেই দুই উইকেট হারায় ভারত। প্রথমে বিরাট কোহলি (৯) বোল্ড হন রিস টপলের বলে। এরপর ঋষভ পন্তকে (৪) প্যাভিলিয়নে পাঠান স্যাম কুরান। ৪০ রানে দুই উইকেট পতনের পর ইনিংসের দায়িত্ব নেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও সূর্যকুমার যাদব। রোহিত ও সূর্যকুমারের মধ্যে তৃতীয় উইকেটে ৭৩ রানের জুটি গড়ে ওঠে। এই পার্টনারশিপের কারণে ভারতীয় দল ভাল স্কোরে পৌঁছতে সফল হয়।

Advertisement

রোহিত শর্মা ৩৯ বলে ৫৭ রান করেন, যার মধ্যে ছয়টি চার ও দুটি ছক্কা ছিল। যেখানে সূর্যকুমার যাদব ৩৬ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কার সাহায্যে ৪৭ রান করেন। এর পর স্লগ ওভারে হার্দিক পান্ডিয়া ও রবীন্দ্র জাদেজা ভাল ব্যাটিং করেছেন। হার্দিক পান্ডিয়া দুটি চার ও একটি ছক্কায় ২৩ রান করেন। যেখানে রবীন্দ্র জাদেজা ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন। তিন ওভারে ৩৭ রানে তিন উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন ক্রিস জর্ডন। যেখানে আদিল রশিদ ২৫ রানে একটি উইকেট নেন। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন রিস টপলে, জোফরা আর্চার ও স্যাম কুরান। ভারতীয় দলের ইনিংসের সময়ও বৃষ্টির বাধা ছিল। তবে ভলো ব্যাপার হলো ম্যাচে পুরো ওভার শেষ করা যেত।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট

১৫- আর্শদীপ সিং (২০২৪)
১৩- জসপ্রিত বুমরা (২০২৪)
১২- আরপি সিং (২০০৭)
১১- রবিচন্দ্রন অশ্বিন (২০১৪)

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের সবচেয়ে বড় জয়ের ব্যবধান

৯০ রান বনাম ইংল্যান্ড, কলম্বো, ২০১২
৭৩ রান বনাম অস্ট্রেলিয়া, মীরপুর, ২০১৪
৭১ রান বনাম জিম্বাবুয়ে, মেলবোর্ন, ২০২২
৬৮ রান বনাম ইংল্যান্ড, প্রভিডেন্স, ২০২৪
৬৬ রান বনাম আফগানিস্তান, আবুধাবি, ২০২১

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নকআউটে সবচেয়ে বড় জয় (রানে)

৭৪ রান - ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম অস্ট্রেলিয়া, কলম্বো আরপিএস, ২০১২ সেমিফাইনাল
৬৮ রান - ভারত বনাম ইংল্যান্ড, প্রভিডেন্স, ২০২৪ সেমিফাইনাল
৫৭ রান - শ্রীলঙ্কা বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ওভাল, ২০০৯ সেমিফাইনাল
৩৬ রান- ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম শ্রীলঙ্কা, কলম্বো, ২০১২ ফাইনাল

টি-টোয়েন্টিতে ভারতের দীর্ঘতম জয়ের ধারা

১২- নভেম্বর ২০২১ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০২২
11*- ডিসেম্বর ২০২৩ থেকে জুন ২০২৪
৯- জানুয়ারি ২০২০ থেকে ডিসেম্বর ২০২০

টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক মরশুমে সর্বাধিক জয়

৮-দক্ষিণ আফ্রিকা (২০২৪)
৭- ভারত (২০২৪)
৬- শ্রীলঙ্কা (২০০৯)
৬- অস্ট্রেলিয়া (২০১০)
৬- অস্ট্রেলিয়া (২০২১)

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement