Jitesh Sharma Team India Wicket Keeper: ওয়ান-ডে বিশ্বকাপ অতীত। এরপর অস্ট্রেলিয়া দল ভারতের মাটিতে ৫ টি টি২০র ভারতীয় দল টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ ফলে হারিয়ে দিয়েছে। রোহিত-বিরাটের মতো অভিজ্ঞদের অনুপস্থিতিতে তরুণ টিম ইন্ডিয়া সিরিজ দখল করেছে। অস্ট্রেলিয়া দলে ম্যাক্সওয়েলের বিস্ফোরক ইনিংসে একমাত্র ম্যাচটি জিততে সক্ষম হয়েছে। বিশ্বকাপ ফাইনালে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলা ট্রাভিস হেডও ম্যাচ জেতাতে পারেনি। সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচে ভারতীয় দলে সুযোগ পান উইকেটকিপার ব্যাটার জিতেশ শর্মা। দুটি ম্যাচেই তিনি বিস্ফোরক ক্য়ামিও ইনিংস খেলেন। যা দলকে ভাল রানে পৌঁছতে সাহায্য করে। বিশেষ করে শেষ ম্যাচে উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য সহজ ছিল না। তাঁর নির্ভীক ব্যাটিংয়ে অনেকেই লোয়ার অর্ডারে ভরসা খুঁজে পেয়েছেন।
আমরা সেই জিতেশ শর্মার কথা বলছি, যিনি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে বিস্ফোরক ব্যাটিং করেছিলেন। এই ম্যাচে তিনি মাত্র ১৯ বলে ৩৫ রান করেন। যার মধ্যে ৩ টি আকাশচুম্বী ছক্কাও ছিল। জিতেশ শর্মার ক্যারিয়ার উত্থান-পতনে পূর্ণ। কারণ তাঁর কোনও কোচ ছিল না। তখন তিনি ইউটিউবে বিভিন্ন ব্যাটারের ব্য়াটিং দেখে সেটা মাঠে গিয়ে চর্চা করতেন। পঞ্চম ম্যাচেও তিনি ১৬ বলে ২৫ রানে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। জিতেশ শর্মা চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে সূর্যকুমার যাদবের স্টাইলে ব্যাটিং করেছেন এবং ডিপ স্কোয়ার লেগে ওভারে ছক্কাও মারেন।
ম্যাচের পরে, প্রাক্তন বিদর্ভ অধিনায়ক রঞ্জিত পারাদকার একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে বলেন যে জিতেশ এই শটের জন্য সূর্যকুমার যাদবের ভিডিও দেখেছেন। পাশাপাশি কঠোর পরিশ্রমও করেছেন তিনি। রঞ্জিত জানান, সূর্য হয়তো নিজেও এত নিজের ভিডিও দেখেন না, যতটা জিতেশ দেখেন। তিনি শটটি স্কোয়ার লেগ ও ফাইন লেগ দিয়ে মারতে চেয়েছিলেন। ভিসিএ-তে, তিনি এশিয়ান গেমসে যাওয়ার আগে এক সপ্তাহ ধরে সেই ভিন্ন শটের জন্য অনুশীলন করেছিলেন। এশিয়ান গেমসে যাওয়ার আগে জিতেশ শর্মা বলেছিলেন যে তিনি সূর্যকুমার যাদবের ব্যাটিং ভিডিও দেখেছেন এবং তার ৩৬০ ডিগ্রি শটে কাজ করছেন।
জিতেশ বলেন, "আমি শুধু সূর্যকুমার যাদবকে দেখার চেষ্টা করছি।" তিনি বলেন, আমি হয়তো সূর্যের মতো প্রতিভাশালী নই, তবে আমি তার ভিডিওগুলি দেখেছি যে সে কীভাবে মাঠের কারসাজি করে এবং কীভাবে সে ঝুঁকিমুক্ত শট খেলে। আমি তার ব্যাটিং থেকে শেখার চেষ্টা করছি।" টি-টোয়েন্টি সিরিজ এবং আইপিএলেও যদি পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারেন, তাহলে হয়তো টি২০ বিশ্বকাপে সুযোগ মিলতে পারে।