বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার সামনে রানের লক্ষ্য রাখল ভারতীয় দল। টসে জিতে এদিন ভারতীয় দলকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠান অজি ক্যাপ্টেন প্যাট কামিন্স। ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেন রোহিত শর্মা ও শুভমন গিল। বেধড়ক পেটাতে থাকেন দুই ওপেনার। তখনও বোঝা যায়নি আহমেদাবাদের এই উইকেট এতটা স্লো হবে। বল যতক্ষণ নতুন ছিল, শক্ত ছিল ব্যাটে আসছিল। বল নরম হতেই রান করতে বিরাট সমস্যায় পড়তে হয় ভারতীয় দলের ব্যাটারদের।
কেন রান কম হল ভারতের?
এবারের বিশ্বকাপে দারুণ ছন্দে ছিল ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ। টানা ১০ ম্যাচ জিতে তারা ফাইনালে উঠেছে। ফলে এই ম্যাচেও তাদের থেকে বড় কিছুই প্রত্যাশা করেছিলেন ফ্যানরা। তবে তা হয়নি। বেশকিছু কারণে ভারতীয় দলের রান ২৪০-এই আটকে গিয়েছে। নিজেদের জালেই ফেঁসে গিয়েছেন রোহিত শর্মারা। ভারতের বেশিরভাগ ব্যাটারই বাউন্স রয়েছে গতি রয়েছে এমন উইকেটে খেলতে পছন্দ করেন। সেখানে শুধু স্পিনারদের সুবিধা দেখতে গিয়ে স্লো উইকেট বেছে নিয়েছে আয়োজক ভারত।
রোহিতের ইনিংস
রোহিতের হাফ সেঞ্চুরি যখন দোরগোড়ায় তখনই ছন্দপতন। চতুর্থ বলে বড় শট খেলতে গিয়ে মিস টাইম করে ফেলেন রোহিত। কভার থেকে পেছনের দিকে দৌড়ে গিয়ে দারুণ ক্যাচ ধরেন ট্রাভিস হেড। রোহিত আউট হওয়ার পরেই সমস্যায় পড়তে হয় টিম ইন্ডিয়াকে। বাউন্ডারি আসছিল না। আসছিল না সিঙ্গেলও। প্রচুর ডট বল খেলে ফেলায় রানের গতি বারেবারে স্তব্ধ হয়েছে। পাশাপাশি দারুণ ফিল্ডিং করেছেন অজি ক্রিকেটাররা। সেখানেই প্রায় ৪০-৫০ রান বাঁচিয়ে দিয়েছেন ওয়ার্নাররা।
রিভার্স স্যুইং হচ্ছে
রবিবারের আহমেদাবাদে বল রিভার্স স্যুইং হয়েছে। তার সুবিধা পেয়েছেন প্যাট কামিন্সরা। ভারতীয় দলের বোলাররা সেই সুবিধা কাজে লাগাতে পারেন কিনা সেটাই এখন দেখার। ভারতীয় দলের হয়ে পরের হয়ে বল করতে আসবেন মহম্মদ শামি। এবারের বিশ্বকাপে শামিকে সুলতান অফ স্যুইং বলা হচ্ছে। এবারের ফাইনালে শামি কি জ্বলে উঠতে পারবেন সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।