India Vs Bangladesh 3rd T20: প্রথম দুটি ম্যাচে ভারত দুর্দান্ত খেলে সিরিজ আগেই জিতে নিয়েছে। কিন্তু তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এমন খেলল ভারত, যা দেখে মনে হল আগের দুটি ম্যাচ বোধহয় খুব কঠিন ছিল। আসলে তৃতীয় টি২০ ম্যাচে তাণ্ডব চালাল ভারত। গোটা ম্যাচে বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করলেন ভারতের ব্যাটারেরা। রেকর্ড গড়ে সর্বোচ্চ রান তুললেন। পাকিস্তানকে গিয়ে পাকিস্তানকে হারানোর পর অনেক আস্ফালন করে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। একের পর এক ম্যাচে বাংলাদেশকে তাদের যোগ্যতা চিনিয়ে দিল ভারত। ব্যাটে-বলে প্রতিবেশী দেশকে দুরমুশ করে রোডরোলার চালিয়ে দিল ভারতীয় দল।
শনিবার হায়দরাবাদে আগে ব্যাট করে ভারত ৬ উইকেটে ২৯৭ রানের জবাবে বাংলাদেশ কেঁকে ককিয়ে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৪ রানে পৌঁছল। ১৩৩ রান বড় হারের পর বিদেশী দলটির খোলনলচে বদলে ফেলার দরকার বলে মনে হয়েছে। সঞ্জু স্য়ামসন বারবার ব্যর্থ হওয়ার পর অবশেষে জ্বলে উঠলেন। রোহিত শর্মার ফেলে যাওয়া জুতোয় পা গলানোর জন্য যশস্বী জয়সওয়াল রয়েছেন। অপরজন সঞ্জু না অভিষেক কে হবেন সেই জায়গা নিয়ে চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। তৃতীয় ম্যাচে যে খেলাটা খেললেন তাতে ওপেনারের জায়গা আপাতত নিশ্চিত হয়ে গেল তাঁর।
প্রতি বলে চার-ছয়।সঞ্জু এবং সূর্যকুমার যাদব ঠিক সেই গতিবেগেই রান তুলছিলেন। কোনও বোলারকেই রেয়াত করছিলেন না সঞ্জু-সূর্য। পাওয়ার প্লে-তে উঠে গেল ৮২ রান। চার, চার, চার, ছয় মেরে ষষ্ঠ ওভার থেকে ১৯ রান নেন সূর্য। সপ্তম ওভারেই সঞ্জুর অর্ধশতরান হয়ে যায়। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে ভারতের রানও ১০০ পেরিয়ে যায়। দশম ওভারে রিশাদ হোসেনের প্রথম বলে কোনও রান নিতে পারেননি সঞ্জু। পরের পাঁচটি বলে পাঁচটি ছয়। এর মধ্যে চতুর্থ ছয়টি সবচেয়ে দূরে যায়। ওভার শেষের পর হাসি দেখা যায় কোচ গৌতম গম্ভীরের মুখেও। প্রথম দশ ওভারে ওঠে ১৫২/১। ধারাভাষ্যকারেরা তখনই বলাবলি করছিলেন, তিনশো উঠবে কি না। শেষ মেশ তার তিন রাগ আগেই থামল ভারত।
১৩তম ওভারের প্রথম বলে মেহেদি হাসানকে চার মেরে শতরান পূরণ করেন সঞ্জু। টি-টোয়েন্টিতে তাঁর প্রথম শতরান। সঙ্গে সঙ্গে সূর্য গিয়ে জড়িয়ে ধরেন সঞ্জুকে। গোটা মাঠ এবং রিজার্ভ বেঞ্চে প্রত্যেকে উঠে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানান কেরলের ব্যাটারকে। তবে জুটি আর স্থায়ী হয়নি। পর পর দু’ওভারে সঞ্জু এবং সূর্য ফিরে যান।
তবে ভারতের রান রেট তাতে এক মুহূর্তের জন্যও কমেনি। নতুন দুই ব্যাটার রিয়ান পরাগ এবং হার্দিক পান্ডিয়া নামার পরেও মনে হয় যেন আগের ব্যাটাররাই ব্যাট করছেন।
এরপর বাংলাদেশ ব্যাটিং নিয়ে কিছু লেখার প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশ শেষমেষ ১৬৪ রান পর্যন্ত পৌঁছয়। আরও কিছু রান করলেও কিছু যায় আসত না। বাংলাদেশ বুঝতে পেরে গিয়েছে, পাকিস্তান আর ভারত মোটেও এক নয়। বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে খেলার মতো সাধ্য তাদের ছিল না।