এশিয়া কাপে এখনও পর্যন্ত ১৫ বার খেলা হয়েছে। দু'বার টি২০ ফরম্যাটে খেলা হয়েছিল। এছাড়া এই টুর্নামেন্ট বাকি ১৩ বার ওয়ানডে ফরম্যাটে হয়েছে। ১৩ সিজনের মধ্যে বহু খেলোয়াড় এই টুর্নামেন্টে নিজেদের দক্ষতা ছাপ রেখে গিয়েছেন। কিন্তু যে সমস্ত খেলোয়াড়রা টপে রয়েছেন। তাদের পরিসংখ্যান আপনাদের অবাক করে দেবে। আপনারা আপনাদের এশিয়া টপ ৫ ব্যাটার এবং টপ ৫ বোলারের আকর্ষণীয় পরিসংখ্যান তুলে ধরছি।
এশিয়া কাপের টপ ৫ ব্যাটসম্যান
এশিয়া কাপের টপ ৫ ব্যাটসম্যানের মধ্যে সনথ জয়সূর্য এশিয়া কাপে সবচেয়ে বেশি রান করা ব্যাটসম্যান লিস্টে উপরে রয়েছেন। এই লিস্টে দু'জন ভারতীয়, দুজন শ্রীলঙ্কান এবং একজন পাকিস্তানি রয়েছেন।
টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বেশি রান জয়সুরিয়া করেছেন। ১৯৯০ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত খেলেছেন। ১২২০ রান স্কোর করেন তিনি। ২৫ ম্যাচে ৫৩.০৪ গড়ে ১০২.৫ স্ট্রাইক রেটের সঙ্গে ৬ টি সেঞ্চুরি এবং ৩ টি হাফ সেঞ্চুরি করেন। জয়সুুরিয়ার পর শ্রীলঙ্কারই কুমার সাঙ্গাকারার রানের পরিসংখ্যান রয়েছে। সাঙ্গাকারা ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ২৪ ম্যাচে ৪৮.৮৬ গড়ে ১১৭৫ রান করেন। যার মধ্যে তিনি ৪ টি সেঞ্চুরি এবং ৮ টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। এরপরেই রয়েছেন ভারতের শচীন তেন্ডুলকার। তিনি ১৯৯০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত খেলে ২৩ ম্যাচে ৫১.১০ ঘরে ৯৭১ রান করেন। তিনি ২ টি সেঞ্চুরি ও ৭ টি হাফ সেঞ্চুরি করেন। এই তালিকায় ৪ নম্বরে পাকিস্তানের শোয়েব মালিক। তিনি ২০০০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৭৮৬ রান করেন। এরপর ৭৪৫ রান করে পঞ্চম স্থানে রয়েছেন রোহিত শর্মা। তিনি ২২ ম্যাচে ৪৫.৫৬ ঘরে ৭৪৫ রান করেন। তিনিই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি এখনও ক্রিকেট খেলছেন। তিনি একটি সেঞ্চুরি করেছেন।
এশিয়া কাপে সর্বশ্রেষ্ঠ ৫ বোলারের তালিকা
এই তালিকায় ৫ জনের মধ্যে ৪ জনই শ্রীলংকার। এর মধ্যে চারজনই শ্রীলঙ্কান খেলোয়াড়। সবচেয়ে উপরে রয়েছেন কিংবদন্তী মুতাইয়া মুরলিধরন। মুরলি ১৯৯৫ সাল থেকে ২০১০ পর্যন্ত খেলে ২৪ ম্যাচে ৩০ টি উইকেট পেয়েছেন। তার ইকোনমি রেট ৩.৭৫। এই লিস্টে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন লসিথ মালিঙ্গা। তিনি ২০০৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ১৪ ম্যাচ খেলে ২৯ উইকেট দখল করেন। মালিঙ্গার পরে শ্রীলঙ্কায় অজন্তা মেন্ডিসের নাম রয়েছে। অজন্তা মেন্ডিস ২০০৮ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত এশিয়া কাপে খেলেছেন। এই সময় তিনি মাত্র ৮ টি ম্যাচ খেলে ১০.৪২ গড়ে ৩.৯৮ এর সঙ্গে ২৬ উইকেট নিয়ে নিয়েছেন। এরপর পাকিস্তানের সইদ আজমল ২০০৮ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ১২ টি ম্যাচ খেলেন। যার মধ্যে তার গড়ে ১৯.৪০ রান দিয়ে উইকেট পেয়েছেন ২৫টি। শেষ পাঁচ নম্বরে শ্রীলংকার চামিন্ডা ভাস রয়েছেন। তিনি ১৯৯৫ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ১৯ টি ম্যাচ খেলেন। যার মধ্যে ২৭.৭৮ গড়ে তিনি ২৩ টি উইকেট নেন।
সেরা ৫-এআসতে পারেন রবীন্দ্র জাদেজা
এই লিস্টে ভারতের তরফ থেকে অষ্টম নম্বরে ইরফান পাঠান রয়েছেন। যিনি ১২ ম্যাচে ২২ উইকেট নিয়েছেন। সেখানে ইরফান পাঠানের পর রবীন্দ্র জাদেজা রয়েছেন। যিনি ১৪ ম্যাচে ১৯ উইকেট নিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে জাদেজার কাছে সুযোগ রয়েছে এশিয়া কাপ ২০২৩-এ ভালো প্রদর্শন করে টপ ফাইভে চলে আসার।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এশিয়া কাপে কার দের দাপট ছিল?
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট যখন হয়েছিল এশিয়া কাপে, সেই সময়ে ব্যাটিং লিস্টের সবার উপরে বিরাট কোহলি রয়েছেন। বিরাট ১০ ম্যাচে ৮৫.০ গড়ে ১৩২ স্ট্রাইক রেটে ৪২৯ রান করেন। এই সূচিতে বিরাটের পরে মহম্মদ রিজওয়ান এবং রোহিত শর্মা রয়েছেন। তাঁরা ২৮১ এবং ২৭১ রান করেছেন। একাধিক বোলারের মধ্যে ভুবনেশ্বর কুমার সর্বাধিক উইকেট নেন। তিনি ৬ ম্যাচে ৯.৪৬ গড়ে ১৩ টি উইকেট হাসিল করেছেন। এই সূচিতে হার্দিক পান্ডিয়া পঞ্চম নম্বরে রয়েছেন। তিনি আট ম্যাচে ১১ উইকেট নেন।