দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করতে নামলে ঝড় তুলছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কুইন্টন ডি কক, হেনরি ক্লাসেনের মতো ব্যাটাররা দারুণ ছন্দে। শুধু তাই নয়, বড় রানের লক্ষ্য দিয়ে বোলাররাও আগুন ঝড়াচ্ছেন। সেই কথা মাথায় রেখেই এই ম্যাচে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাবর আজম। তবুও ২৭০ রানেই গুটিয়ে গেল পাকিস্তান।
ব্যাট করতে নামলেও ওপেনিং জুটি ব্যর্থতা এড়াতে পারেনি। ৩৮ রানে ২ উইকেট হারানোর পর, দলের হাল ধরতে হয় ক্যাপ্টেন বাবর আজমকে। তার আগে আব্দুল্লা সাফিক ১৭ বলে ৯ রান করে আউট হন। ইমাম উল হক ১৮ বলে ১২ রান করে ফেরেন। মার্কো জ্যানসনই এই দুই উইকেট তুলে নেন। বাবর হাল ধরলেও ৫০ রান করেই আউট হন। বড় রান করতে পারেননি মহম্মদ রিজওয়ানও। ২৭ বলে ৩১ রান করে আউট হন তিনি। ইফতিকারও বড় রান পাননি এদিন। মাত্র ৩৬ বলে ৪৩ রান করলেও দলের আরো বেশি রান দরকার ছিল।
বাবর আউট হওয়ার পর, শাহদাব খান ও সৌদ সাকিল ভাল জুটি গড়ে তোলেন। সাকিল রান পেলেও বড় রান করতে পারেননি। ৫২ বলে ৫২ রান করেই আউট হন তিনি। তাঁর ইনিংসে ছিল সাতটা চার। তবে পাকিস্তান দল এরপর আর কোনও পার্টনারশিপ গড়ে তুলতে পারেননি। ৭১ বল খেলে ৮৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন তাঁরা। এছাড়া মহম্মদ রিজওয়ান ও বাবার আজম ভাল জুটি গড়লেও রান হয়নি সেভাবে। ৫৬ বলে ৪৮ রান করেন তাঁরা।
এদিনও খেলতে পারেননি রাবাডা। পিঠের চোটের জন্য খেলতে পারছেন না তিনি। যদিও তাতে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সমস্যা হয়নি। একের পর এক উইকেট তুলে নিতে থাকেন তাবরেজ সামসি, মার্কো জ্যানসনরা। উইকেট পেয়েছেন জেরাল্ড কোয়েটজিও।
এর মাঝেই বাবর আজমদের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিল ফাস্ট বোলার হাসান আলির অসুস্থতা। শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচে পাওয়া যাবে না হাসানকে। দলের অন্যতম অভিজ্ঞ পেসার অসুস্থ। ফলে এই রান পাকিস্তান ডিফেন্ড করতে পারে কিনা সেটাই দেখার।