অবশেষে পাওয়া গেল বরফ গলার ইঙ্গিত। অভিমান ভুলে বাংলায় ফিরতে পারেন ঋদ্ধিমান সাহা। সিএবির কিছু কর্তার সঙ্গে ঝামেলার জেরে বাংলা ছেড়ে ২০২২-এ ত্রিপুরায় চলে গিয়েছিলেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। সোমবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন ঋদ্ধিমান ও তাঁর স্ত্রী রোমি। এরপরেই জল্পনা শুরু হয়।
সোমবার প্রায় ঘন্টাখানেক বৈঠক সারেন ঋদ্ধি ও রোমি। সেই বৈঠকে ঠিক কোন কোন ব্যাপারে কথা হয়েছে, তা যদিও বলতে চাননি কোনও পক্ষই। তাঁদের বক্তব্য, এটা নেহাতই সৌজন্য সাক্ষাৎ। তবে সূত্রের খবর, এই বৈঠকের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছেন সৌরভের বন্ধু সঞ্জয় দাস। তিনিও এ ব্যাপারে আলাদা করে কিছুই বলতে চাননি। দেশের হয়ে ৪০টি টেস্ট খেলা ঋদ্ধি ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁর বাদ পড়ার পেছনে সরাসরি না হলেও তৎকালীন বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভকেই দায়ি করেন। এরপর থেকে বাংলার ক্রিকেটের নিয়মক সংস্থার সঙ্গেও শুরু হয় দ্বন্দ।
এরপরেই ত্রিপুরায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন বাংলার উইকেটকিপার ব্যাটার। এরপর সিএবি-র কয়েকজন কর্তা তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও বরফ গলেনি। পাপালি সেই সময় সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, 'খারাপ তো অবশ্যই লাগছে। কিন্তু কী করা যাবে। কানপুরের ওই ইনিংসের পর দাদি (সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়) হোয়াটস অ্যাপ করেছিল। বলেছিল, আমি যত দিন আছি, ভাবতে হবে না। দাদির কথায় নতুন করে উৎসাহ পেয়েছিলাম।' বিতর্কের সেই শুরু।
অবশেষে কি মিটল বিতর্ক, ছবি অন্তত সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। অবশেষে আইপিএল সেরে কলকাতায় ফেরার পরেই সৌরভের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের ফলে সেই বরফ গলার ইঙ্গিত মিলল। তবে এখনই তিনি বাংলার হয়ে খেলবেন কিনা তা বলা যাচ্ছে না। সিএবি আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেনি। ফলে এখনই তা নিশ্চিত বলা সম্ভব নয়। তবে ক্যাপ্টেন মনোজ তিওয়ারি অবসর নেওয়ায় ঋদ্ধি ফিরলে তাঁকেই ক্যাপ্টেন্সির দায়িত্ব দেওয়া হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।