Virat Kohli Rohit Sharma T20 Carrier On Question: প্রাক্তন বোলিং অলরাউন্ডার অজিত আগারকরকে (Ajit Agarkar) ভারতীয় দলের মুখ্য নির্বাচক (Chief Selector) হিসেবে নিযুক্ত করার পরেই টি-টোয়েন্টি (T20) দল ঘোষণা হয়েছে। যার মধ্যে প্রথম নির্বাচনে চমক দিয়েছেন তিনি। তার মধ্যে ভারতের দুই ব্যাটিং স্তম্ভ বিরাট কোহলি (Virat Kohli) এবং রোহিত শর্মাকে (Rohit Sharma) বাদ দিয়েই টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা করা হয়েছে। সঙ্গে দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে সঞ্জু স্যামসনকে (Sanju Samson) এবং আইপিএলে তারকা ব্যাটসম্যান রিঙ্কু সিংকে (Rinku Singh) দলে জায়গা দেওয়া হয়নি। এই সমস্ত কিছু নিয়ে শুরুতেই বিতর্কে আগারকর।
অজিত আগারকর যে টিম ঘোষণা করেছেন, তাতে পরিষ্কার যে বিসিসিআই (BCCI) এখন ফোকাস ২০২৪-এ হতে চলা আইসিসির টি-২০ ওয়ার্ল্ড কাপে করতে চাইছে। তার জন্য টিম তৈরি করতে চায়। গত কয়েকবারের কিছু টি-টোয়েন্টি টিম দেখেন তাহলে এটা পরিষ্কার যে হার্দিক পান্ডিয়াকেই (Hardik Pandya) টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব সপা হচ্ছে। নতুন টিমে যশস্বী জয়সওয়াল (Yasashhi Jaysawal), তিলক বর্মা (Tilak Verma) এবং মুকেশ কুমারের (Mukesh Kumar) মত নতুন নাম শামিল করা হয়েছে। সেইখানে সঞ্জু স্যামসনকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ফ্যানেদের দাবি ছিল যোগ্যতা সত্ত্বেও তাঁকে দলে ভেড়ানো হচ্ছে না। তাঁকেও ফের একবার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
৬ খেলোয়াড়কে বাদ দেওয়া হয়েছে
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে হওয়া সিরিজের দল থেকে রাহুল ত্রিপাঠী, দীপক হুদা, পৃথ্বী শ, জিতেশ শর্মা, ওয়াশিংটন সুন্দর, শিভম মাভি ছিলেন। এই ৬ জনকেই টিম থেকে বাইরে রাস্তা দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। পৃথ্বী এবং জিতেশ যেখানে সুযোগ পাননি, সেখানে রাহুল ত্রিপাঠী এবং দীপক হুডা ব্যাটে রান পাননি।
একতরফা কমিউনিকেশন হচ্ছে কি?
সম্প্রতি টিম সিলেকশন নিয়ে বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করা হচ্ছে না এবং বিসিসিআই কোনও প্রেস কনফারেন্সও করছে না।যেটা আগে করা হতো। সেখানে প্রশ্ন-উত্তর পর্ব চলত, যা একেবারেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই সিলেকশন সবাইকে অবাক করে দিচ্ছে এবং সঙ্গে বিসিসিআইয়ের একতরফা কমিউনিকেশনের উপর প্রশ্ন উঠছে। টিমকেও সরাসরি ইমেইল করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে কোন কোন খেলোয়াড় ক্যারিবিয়ান সফরে যাবেন এবং কাকে কাকে বিশ্রাম দেওয়া হচ্ছে।
এই টিম সিলেকশন এর মাপকাঠি কী?
কীভাবে প্লেয়ারদের এন্ট্রি দেওয়া হচ্ছে? এই ধরনের প্রচুর প্রশ্ন রয়েছে। যার উত্তর মিলছে না। শুধু ক্যারিবিয়ান সফরে যাওয়া টিম ইন্ডিয়ার নিয়েই নয়, একই প্রশ্ন অন্য়ান্য টিম নিয়েও।
রোহিত এবং কোহলির টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার কি শেষ?
ভারতীয় ক্রিকেট টিমের নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি শেষবার ২০২২-এ খেলা টি২০ ওয়ার্ল্ড কাপে খেলেছিলেন এরপরে দুজনে কোনও ইন্টারন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলেননি। এই পরিস্থিতিতে মনে করা হচ্ছে যে বিসিসিআই ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে কোহলি এবং রোহিতকে টি-টোয়েন্টি থেকে বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ভুবনেশ্বর এবং মহম্মদ সামির টি-টোয়েন্টি ফিউচার কী হবে?
ভুবনেশ্বর কুমার এবং মহম্মদ শামিকে নিয়েও নির্বাচকদের তরফে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। আহত খেলোয়ারদের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ফিটনেস নিয়েও কোন আপডেট দেওয়া হয়নি। এই পরিস্থিতিতে সমস্ত চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিসিসিআইয়ের নতুন চিফ সিলেক্টর অজিত আগারকার কীভাবে বেরিয়ে আসেন সেটা একটা বড় প্রশ্ন।
রিংকু সিং এবং ঋতুরাজ কে কেন সিলেক্ট করা হলো না?
যেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে একগুচ্ছ নতুন মুখকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে সেখানে আইপিএলের দুই স্টার ঋতুরাজ গায়কোয়ার এবং রিঙ্কু সিংকে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাদের রাখা হয়নি। সেখানে পুরনো অনেক খেলোয়াড় কাম ব্যাক করেছেন। নতুন খেলোয়াড়দের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। রিঙ্কু আইপিএল ২০২৩ এ ৫৯.২৫ গড়ে, ১৫৯.৩০ স্ট্রাইক রেটে ৪৭৪ রান করেন। গুজরাটকে বিরুদ্ধে একক জিতিয়ে দেন একক দক্ষতায় ম্যাচ জেতান। এই ম্যাচকে কোনও ক্রিকেট ফ্যান কোনওদিন ভুলতে পারবেনা। যশ দয়ালের লাস্ট ওভারে তিনি পাঁচ বলে লাগাতার পাঁচটি ছয় মেরে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন।
একই পরিস্থিতি চেন্নাই সুপার কিংস এর বেটার ঋতুরাজ গায়কোয়াড়েরও। আইপিএল ২০২৩-এ গায়কোয়াড় ৪২.১৪ গড়ে ৫৯০ রান করেন। চেন্নাইয়ের পঞ্চমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনে গায়কোয়ারের বড় অবদান রয়েছে। রিঙ্কু এবং গায়কোয়াড় ছাড়া গুজরাট টাইটান্সের রাহুল তেওটিয়া মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স বলার আকাশ মাধওয়ালের কপালেও শিকে ছেঁড়েনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য টি টোয়েন্টি টিম নিশান কিষাণ উইকেট কিপার শুভান গ্রিল যশ্রি জয়সওয়াল তিলক বর্মা সূর্য কুমার যাদব সঞ্জু স্যামসাং হার্দিক পান্ডিয়া বীরেন্দ্র চাহাল অক্ষর প্যাটেল কুলদীপ যাদব সিং ইমরান মালিক আবিষ্কার আবেশ খান মুকেশ কুমার
টিম ইন্ডিয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর এর সিডিউল প্রথম টেস্ট ১২ থেকে ১৬ জুলাই ডমিনিকা দ্বিতীয় টেস্ট কুড়ি থেকে ২৪ জুলাই পোট অফ স্পেন প্রথম ওয়ানডে সাতাস জুলাই ব্রিজটাউন দ্বিতীয় ওয়ানডে ২৯ জুলাই ব্রিজটাউন তৃতীয় ওয়ানডে ১ আগস্ট প্রথম টি-টোয়েন্টি ৩ আগস্ট দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ৬ আগস্ট তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ৮ আগস্ট চতুর্থ অঞ্চল