রিও ডি জেনিরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা সমর্থকদের মধ্যে মারামারি। যার কারণে ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ ৩০ মিনিট দেরিতে শুরু হল। দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলের দুই পরাশক্তির মধ্যে বহুল প্রত্যাশিত ব্লকবাস্টারটি সকাল ৬টা নাগাদ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু স্ট্যান্ডে গোলযোগের পর ম্যাচ শুরু হতে দেরি হয়।
ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা জাতীয় সঙ্গীতের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন, সেই সময়ই ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার সমর্থকদের একটি অংশ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। মাঠে উপস্থিত ফুটবলাররা এই বিরক্তিকর দৃশ্য দেখে বেশ হতবাক হয়ে যান। মারামারি থামাতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়। স্থানীয় পুলিশকে মাঠের এক প্রান্তে আর্জেন্টিনা সমর্থকদের লাঠিপেটা করতে দেখা যায়। দু’দলেরই বহু সমর্থক আহত হন। লিওনেল মেসির নেতৃত্বাধীন আর্জেন্টিনা দলের পক্ষে এটি স্পষ্টতই ভাল লাগেনি। মেসি-সহ দুই দলের খেলোয়াড়রা প্রতিবাদে মাঠ ছাড়েন। মেসিকে উন্মত্ত জনতার দিকে ইশারা করতে দেখা যায় এবং বাকিরা মাঠ ছাড়ার আগে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। মেসি মাঠ ছাড়ার আগে বলেন, 'আমরা খেলছি না, আমরা চলে যাচ্ছি।'
তবে, আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা শীঘ্রই মাঠে পুনরায় আসেন। ম্যাচটি সকাল সাড়ে ৬টায় শুরু হয়। ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়ে দেয় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। ৬৩ মিনিটের মাথায় গোল করেন নিকোলাস ওটামেন্ডি। দুই দলই বাছাইপর্বের আগের রাউন্ডে পরাজয়ের পর খেলে এই ম্যাচ। কলম্বিয়ার কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরেছে ব্রাজিল এবং বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ঘরের মাঠে উরুগুয়ের কাছে ২-০ গোলে পরাজিত হয়েছে। পাঁচ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকান বাছাইপর্বের গ্রুপে আর্জেন্টিনা এগিয়ে আছে। ১০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উরুগুয়ে। কলম্বিয়া নবম এবং ভেনেজুয়েলার অষ্টম স্থানে রয়েছে। ৭ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে ব্রাজিল। ইকুয়েডর, প্যারাগুয়ে ও চিলির রয়েছে ৫ পয়েন্ট করে। বলিভিয়ার ৩ এবং পেরুর ১ পয়েন্ট করে রয়েছে।