Copa America Final: আর্জেন্টিনা এবং কলম্বিয়া দুই দলই হাফ টাইমে ০-০-তে দাঁড়িয়ে। বিশ্ব ফুটবলের দুই যুযুধান পক্ষই কাউকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ। দুই দেশেরই সমর্থকরা ফুটবল অন্ত প্রাণ। আর দর্শকদের সেই এনার্জি খেলোয়াড়দের অ্যাড্রিনালিন গ্রন্থিতেও ছড়িয়ে পড়ে। এটাই লাতিন ফুটবল DNA।
এদিন প্রায় ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট দেরিতে ম্যাচ শুরু হয়। টিকিট ছাড়াই স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন দর্শকদের একাংশ। ভিড় সামাল দিতে নাজেহাল হয় মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়াম। অনেকেই বলছেন, কোপার দর্শকদের আবেগ, উত্তেজনা নিয়ে হয়তো স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষের ধারণা কম। তাই প্রস্তুতির অভাব ছিল।
সেই যাই হোক না কেন, এই প্রবল উত্তেজনার আবহেই মাঠে নামেন মেসিরা। মাঠে নেমেই ২০ মিনিটের মাথায় দারুণ মুভ তৈরি করেছিলেন মেসি। গোলে দুরন্ত শট নিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্দান্ত রিফ্লেক্সে সেভ করেন গোলকিপার। শুরুতেই রক্ষণ তছনছ করার একটি বড় সুযোগ মিস করে আর্জেন্টিনা।
এরপর আর্জেন্টিনা বারবার ঘুঁটি সাজানোর চেষ্টা করে গিয়েছে। কিন্তু এদিন কলম্বিয়া যেন প্রতিজ্ঞা করেই নেমেছে, বিনা যুদ্ধে নাহি দিব...
ফলে যতবারই বল নিয়ে অ্যাটাকিং পজিশনের ছন্দ তৈরি করেছে আর্জেন্টিনা, ততবারই পা থেকে বড় কেড়ে নিয়ে সুর কেটে দিয়েছেন কলম্বিয়ার প্লেয়াররা। কলম্বিয়ার এই কনফিডেন্সেই বারবার ছন্দ মেলাতে ভুল করলেন আর্জেন্টিনার প্লেয়াররা। মিল হল পাস... নিখুঁত ক্রসেও শট খেলতে পারলেন না ফরোয়ার্ডরা।
আর এই কাড়াকাড়ির ব্যাপার যখনই তৈরি হয়, তখনই রাফ ট্যাকেল, আঘাত, টেনে ধরার মতো ঝুঁকি এসে যায়। এক্ষেত্রেও অন্যথা হয়নি। ২৫ মিনিটের মাথায় আর্জেন্টিনার লিসান্দ্রোকে আঘাত করায় হলুদ কার্ড দেখলেন কর্ডোবা।
রক্ষণ ভেদ করে ছুটতে গিয়ে আহত হলেন মেসিও। ৩৫ মিনিটের মাথায় বক্সের মধ্যে দ্রুত গতিতে ছুটছিলেন। এরপর খালি একটা হালকা ক্রস... গোলের অপেক্ষা। উত্তেজনায় কাঁপছে স্টেডিয়াম। এমন সময়ই পায়ে আঘাত পেলেন মেসি। মাঠেই হল চিকিৎসা। তবে এরপর মাঠ ছাড়তে হল মেসিকে। হতাশ চোখে মেসির কান্নার দৃশ্য যেন বুকে গিয়ে লাগল ফুটবলপ্রেমীদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ভিডিও...
আপাতত হাফটাইম। ২৫ মিনিট দর্শকদের মাতিয়ে রাখছেন কলম্বিয়া তথা বিশ্বখ্যাত কিংবদন্তি পপ তারকা শাকিরা। এরপর কী হয়, সেটাই দেখার।