ISL Final Champion Mohun Bagan: নববর্ষে মোহনবাগান (Mohun Bagan) সমর্থকদের কাছে এর চেয়ে বড় উপহার আর কী-ই বা হতে পারে! ওতো রাতে ম্যাচ, দর্শকরা খেলা দখে ফিরবেন কী করে? দুঃশ্চিন্তা ছিলই। কিন্তু আবেগের কাছে বাঁধ ভাঙে সব কিছুই। সোমবারের যুবভারতী যে আবেগের সাক্ষী থাকল, তা আসলে ফুটবলের আবেগ। ভালবাসার দলের সমর্থনের আবেগ। আনন্দে কেউ কাঁদলেন, কেউ নাচলেন। হ্যাঁ, মোহনবাগান ভারতসেরা।
রেকর্ডে ছড়াছড়ি মোহনবাগানের
সোমবার রাতে মোহনবাগান শুধু লিগ-শিল্ড জেতেনি। একাধিক রেকর্ডও গড়ে ফেলল। সোশ্যাল মিডিয়ায় তো অনেক ভক্তের রসিকতা, 'জিতে জিতে অভ্যাস হয়ে গিয়েছে সবুজ-মেরুনের।' আসুন দেখে নেওয়া যাক, ISL জয় ছাড়াও সোমবার রাতে আর কী কী রেকর্ড গড়ল মোহনবাগান। জেসন কামিন্স ও আর্মান্দো সাদিকু যেন মানিকজোড়। একসঙ্গে না খেললে এই জয় সম্ভব ছিল না।
প্রথমবার মুম্বইকে হারাল মোহনবাগান
আইএসএলের (ISL) ১০ বছরের ইতিহাসে যে মুম্বই সিটি এফসিকে মোহনবাগান এক বারও হারাতে পারেনি, সেই দলকেই ২-১ গোলে হারাল।
মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে জয়ে মোহনবাগান ISL লিগ পর্বে রেকর্ড ৪৮ পয়েন্ট অর্জন করল। এক মরশুমে ক্লাবের রেকর্ড পয়েন্ট। মোহনবাগানের সর্বোচ্চ পয়েন্ট ট্যালি এর আগে ন্যাশানাল ফুটবল লিগে ১৯৯৯-২০০০ মরশুমে ছিল ৪৭ পয়েন্ট।
মোহনবাগানই বাংলায় প্রথম এনএফএল এনেছিল, মোহনবাগান বাংলায় প্রথম আই লিগ এসেছিল।
সবুজ-মেরুনের প্রথম লিগ শিল্ড জয়
প্রথমবার লিগ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হল মোহনবাগান। যুবভারতীতেই কীর্তি গড়লেন পেত্রাতোস-কামিন্সরা।
দলের এই ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী থাকতে এদিন প্রায় ৫০ হাজারের বেশি সমর্থক মাঠে এসেছিলেন। সব থেকে বড় কথা ঘরের মাঠে হারব না, এই হিসেবে কোচ হাবাস শুরু থেকে নামান দলের তিন গোলগেটারকে। সাদিকু, দিমিত্রি ও মনবীর শুরু থেকে গোলের জন্য ঝাঁপান। কামিন্স নামেন বদলি হিসেবে।